স্টাফ রিপোর্টার:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ফাঁসিয়াখালীর ঢালা এলাকায় মারসা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটে।
নিহতরা হলেন— চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার চান্দিশকরা গ্রামের এনাম পাটোয়ারীর ছেলে মালয়েশিয়ান প্রবাসী উদয় পাটোয়ারীর স্ত্রী ফারজানা মজুমদার লিজা (২৮), শাশুড়ি রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পী (৫৫), শ্যালিকা ফারহানা মজুমদার টিজা (২৫), মা রুমি বেগম (৬৫) ও বোন সাদিয়া আক্তার পাটোয়ারী (২৪)।
বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সে কর্মরত উদয় পাটোয়ারী মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে কক্সবাজারে আনন্দভ্রমণের উদ্দেশ্যে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে রওনা দেন। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ফারজানা মজুমদার লিজা, পুত্র সামাদ পাটোয়ারী (৪), শ্যালিকা ফারহানা মজুমদার টিজা, শ্যালক শাহেদ মজুমদার লিশান (২২)। পথে চৌদ্দগ্রাম বাজারের কাজী রাজ্জাক টাওয়ার থেকে রাত আড়াইটার দিকে উদয়ের মা রুমি বেগম ও বোন সাদিয়া পাটোয়ারীকে ওঠানো হয়। পরে ফালগুনকরা এলাকা থেকে রাত পৌনে তিনটার দিকে শাশুড়ি রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পীকেও গাড়িতে তোলা হয়।
নিহত সাদিয়া আক্তার পাটোয়ারী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শেষ পর্বের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, ভোরে চট্টগ্রামমুখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে কক্সবাজারগামী মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের যাত্রীরা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে মালুমঘাট খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক পাঁচজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মাইক্রোবাসচালকসহ আরও চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তিনি।
উদয়ের শ্বশুর আবদুল মন্নান মজুমদার জানান, “জামাতার উদ্যোগে সবাই কক্সবাজারে ঘুরতে যাচ্ছিল। ভোরে দুর্ঘটনার খবর পাই—এক নিমিষে আমার পরিবারের পাঁচজন সদস্য চলে গেলো। এ শোক আমরা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারছি না।”












