বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও আমরা বিএনপি পরিবারের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ১৬ বছর ধরে দেশের জনগণের কাঁধের ওপর চেপে বসেছিল মহিলা ফেরাউন শেখ হাসিনা। তাকে সরানোর জন্য কচি শিশুরা কাঁধে স্কুলব্যাগ নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিল। পরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মিসকিনদের জমি আত্মসাতকারী। এরা শিশু বাচ্চার প্রাণ কেড়ে নিতে দ্বিধাবোধ করে না। শেখ হাসিনা বলছেন, আমি দেশের কাছেই আছি। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ মনে করছে, জল্লাদ কাছে আসছে ফাঁসির দড়ি নিয়ে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়া সদরের চক আকাশতারা এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত তিন পরিবারের সদস্যদের মাঝে আমরা বিএনপি পরিবারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার ক্ষমতার প্রতি এতটাই লোভ ছিল যে তিনি মানুষ খুন করতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। শেখ হাসিনা দেশের টাকা লুট করেছেন। সেই টাকা আজ জনগণের বিরুদ্ধে খরচ করছেন। তার লুট করা টাকাই কেনা অস্ত্র দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলানিসহ তার পরিবারের ওপর হামলা করা হয়েছে। শেখ হাসিনা যতই দেশের কাছাকাছি আসবেন, ততই মেঘ কালো হবে। দেশে আবারও অন্ধকার নেবে আসবে।’
১৫-১৬ বছরে দেশে কোনো বিচার ছিল না মন্তব্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিচার বিভাগ ছিল শেখ হাসিনার দখলে। উন্নয়ন ছিল তার হাতে। তিনি যাকে কাজ দিয়েছেন শুধু তারা নিজেদের উন্নয়ন করেছেন। শেখ হাসিনার কথার বাইরে কোনো কাজ হয়নি।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র রেজাউল করিম বাদশা।
অনুষ্ঠান শেষে নিহত রিকশাচালক কমরউদ্দিন খান বাঙ্গী, ছাত্র শাকিল হাসান মানিক ও গাবতলী পৌর শ্রমিকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।