কুমিল্লারবিবার, ২২শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর শেষে সতেজ প্রাণ ফিরে পেল কুমিল্লার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

প্রতিবেদক
CUMILLA PRESS
সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১ ১:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ইসতিয়াক আহমেদ
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর কুমিল্লার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলে দেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার প্রহর শেষে কুমিল্লার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন প্রানবন্ত হয়ে গেছে।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে  প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদরাসা, কারিগরিসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই খোলা হয়েছে।
সরেজমিনে কুমিল্লার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেয়ে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে এসে বন্ধুদের কাছে পেয়ে অনেক উৎফুল্ল।
বন্ধু, শিক্ষক, স্কুল, খেলার মাঠ, ক্লাসরুম সব মিলিয়ে যেন এক আনন্দঘন মূহুর্ত ফিরে এসেছে সবার মাঝে।
৫৪৩ দিন পর খুলেছে স্কুল-কলেজ। যা বয়ে নিয়ে আসছে প্রতিটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দের জন্য ও খুবই আনন্দঘন এক মূহুর্ত। দেখে মনে হচ্ছে স্কুল-কলেজগুলো ফিরে পেয়েছে নতুন প্রাণ। ক্লাসের বেঞ্চ, টেবিল -চেয়ার, ব্লাকবোর্ডগুলো হয়ে উঠেছে আরো প্রাণোচ্ছ্বল। স্কুলের মাঠের ঘাসগুলোর ওপর আবার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পদচিহ্ন পড়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক -শিক্ষিকাদের মাঝেও আনন্দের শেষ ছিলো না। তারা তাদের প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পেয়ে আবেগ প্লাবন হয়ে উঠে।
 বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়  তাদের আনন্দ অনুভূতি –
কুমিল্লা কালেক্টর স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী কাজী নুসরাত জাহান ইভান বলেন একটা সময় স্কুলে ছুটি পেলে কি যে আনন্দ হতো। আর আজ সেই আনন্দটাই হচ্ছে সবাইকে একসাথে পেয়ে।
কুমিল্লা জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী মো যোবায়ের হোসেন বলেন স্কুলে এসেছি,  বন্ধুদের সাথে ক্লাস করছি, স্যার ম্যাডামরা ক্লাসে আসছে এই অনুভূতি বলতে সত্যিই অসাধারণ। যা বলে বুঝানো সম্ভব নয়। দীর্ঘ ৫৪৩ দিন বা এক বছর ৫ মাস ২৪ দিন পরে আবারো ক্লাসরুমে বসে ক্লাস করতে পেরেছি এটা সত্যিই অসাধারণ।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কুমিল্লার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুমে বসানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের মাধ্যমে তাপমাত্রা দেখা, সারিবদ্ধ ভাবে স্কুলে প্রবেশ এবং প্রস্থান বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোতে বলে জানান বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষিকাগণ।