কুমিল্লাশনিবার, ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দালালের হাতে লাঞ্ছিত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, দেবীদ্বারে অভিযুক্তের ৩ মাসের কারাদণ্ড

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
নভেম্বর ৬, ২০২৫ ৬:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট:

দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালমুক্ত করতে গিয়ে দালালের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযুক্ত দালাল আক্তার হোসেনকে (৩০) তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আটক আক্তার হোসেন দেবীদ্বার পৌর এলাকার ছোট আলমপুর গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেবীদ্বার উপজেলায় প্রায় ৩৭টি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালচক্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে জিম্মি করে রেখেছে। এতে রোগী ও স্বজনরা নিয়মিত প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। একাধিকবার সেনাবাহিনী ও পুলিশের অভিযানে দালালরা আটক হলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও একই কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।

বৃহস্পতিবার সকালে পরিদর্শনে গিয়ে জরুরি বিভাগে দালাল আক্তারকে দেখে বেরিয়ে যেতে বললে তিনি উল্টো তর্কে জড়ান।

এক পর্যায়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাকে আটকাতে গেলে আক্তার হোসেন শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং তার শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন। পরে স্থানীয়রা আক্তারকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল ইসলাম পুলিশসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি সরকারি কাজে বাধা, সরকারি কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করাসহ সংশ্লিষ্ট ধারায় আক্তার হোসেনকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, আক্তার হোসেন হাসপাতালের রোগী, চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণ, হুমকি এবং মারধরের অভিযোগে আগেও বারবার জেলে গেছেন। তারা পকেটে ব্লেড রেখে ডাক্তারদের ভয় দেখান এবং রাতে ভর্তি রোগীদের টাকা-পয়সা ও মালামাল ছিনতাইয়ের করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান জানান, ‘জরুরি বিভাগে দালালকে দেখে বেরিয়ে যেতে বললে সে গড়িমসি করে। একপর্যায়ে তাকে বের করতে গেলে আমাকে লাঞ্ছিত করে এবং শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে দালালমুক্ত করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। রোগীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অপরাধে একজনকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’