কুমিল্লাসোমবার, ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মুরাদনগরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শোবিজ তারকারা

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
জুন ২৯, ২০২৫ ৩:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!


ডেস্ক রিপোর্ট:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় একটি গ্রামে বাড়ির দরজা ভেঙে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে সারাদেশ। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে ত্মুল আলোচনা শুরু হয়। ভিডিওচিত্র মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। ঘটনাটি সামনে আসার পর দেশজুড়ে শুরু হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া। দেশের শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তারা জানিয়ে ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন। এ তালিকায় আছেন মিশা সওদাগর, নুসরাত ফারিয়া, তমা মির্জা, জিয়াউল রোশান, দীঘি সহ আরও অনেকেই।

জাতীয় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর কুমিল্লার মুরাদনগরের ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন। অভিনেতা পোস্টে লিখেছেন, ‘দেশের প্রতিটি মানুষ শান্তিতে থাকুক।প্রতিটি নারী নিরাপদে থাকুক। প্রতিটি অন্যায়ের ন্যায় বিচার হোক। প্রতিটি ধর্ষকের ফাঁসি হোক। মুরাদনগরে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের তীব্র ঘৃণা এবং নিন্দা জানাচ্ছি। ধর্ষকের ফাঁসির দাবি করছি।’

চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া লিখেছেন, “Stop rape!” অন্যদিকে মৌসুমী হামিদ লিখেছেন, মানুষ আর মানুষ নেই। পৃথিবী বুঝি শেষের পথে। এছাড়াও চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন, “ধর্ষণকে না বলুন। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। নীরবতাই সমর্থন। ধর্ষণ বন্ধ করুন।”

অভিনেত্রী তমা মির্জা এক শব্দেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন, মুরাদনগর, কুমিল্লা! বীভৎসতা! লজ্জা!” অভিনেতা জিয়াউল রোশান লিখেছেন, ‘ধর্ষকদের কোনো দল বা ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ নয়, শুধু চাই জনসম্মুখে ফাঁসি।’

গায়িকা ও অভিনেত্রী পারশা মাহজাবীন পূর্ণীর ভাষ্য আরও তীব্র—বিবস্ত্র বাংলাদেশ।' ছোটপর্দার অভিনেতা আরশ খান লিখেছেন, ‘জন্ম পরিচয়হীন না হলে কেউ নারীর প্রতি এমন পাশবিক আচরণ করতে পারে না।’ অভিনেতা সাইদুর রহমান পাভেল ফেসবুক লাইভে এসে বলেন,ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া উচিত। এখন আর চুপ থাকা যায় না।’

এ ঘটনায় যেমন দেশের সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ, তেমনি সংস্কৃতি অঙ্গনের তারকারাও এক কণ্ঠে ধর্ষকদের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। জনমতের চাপে দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার কার্যক্রম শুরু না হলে দেশের আইন ও সমাজব্যবস্থার ওপর আস্থা হারাবে জনগণ—এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।