ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লায় পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় উল্টো পথে আসা হানিফ পরিবহনের সেই বাসটি জব্দ করেছে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ। রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ভানি ইউনিয়নের খাদঘর এলাকার মানামা হোটেলের সামনে মাঠ থেকে বাসটি জব্দ করা হয়।
বাস জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার ।
এর আগে গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড ইউটার্নে হানিফ পরিবহনের বাসটি উল্টা পথে আসায় তাকে সাইড দিয়ে গিয়ে দ্রুত গতিতে আসা সিমেন্টবোঝাই একটি লরি রাস্তা পার হওয়ার অপেক্ষায় থাকা প্রাইভেটকারের ওপর উল্টে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের বাবা-মা ও দুই ছেলে নিহত হয়।
নিহতরা হলেন— কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), বড় ছেলে ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম (৫০) ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম (৪৫)। প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন বড় ছেলে আবুল হাশেম। একই দুর্ঘটনায় লরির নিচে থাকা সিএনজি চালিত অটোরিকশার তিন যাত্রীও আহত হন।
আহতরা ঢাকা ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, শুক্রবার দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাসটিকে শনাক্ত করা হয়েছে। সিসিটিভিতে দেখা যাচ্ছিল হানিফ পরিবহনের ঢাকা মেট্টো-ব-১২-২১৯৭ নম্বরের বাসটি উল্টো পথে চলাচল করার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল।
তিনি আরো বলেন, বাসটি শনাক্তের পর পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকে। রবিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবিদ্বার উপজেলার খাদঘর সাকিনস্থ মানামা হোটেলের সামনে মাঠ থেকে বাসটি জব্দ করা হয়। তবে চালক বা হেলপার কাউকে পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর বাসটিকে খাদঘর এলাকায় রেখে পালিয়ে যায় চালক এবং হেলপার। তাদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাসটি বর্তমানে ময়নামতি হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে।












