এক সময়ের প্রিয় মানুষটির প্রতি যখন আর কোনো প্রতি টান কাজ করে না, তখন সেখান থেকে বের হয়ে আসতেই হয়। অনেক বন্ধুত্ব, প্রেমের সম্পর্ক একটা সময় আর আগের মতো থাকে না। কোনো না কোনো কারণে দূরত্ব চলে আসে। জীবনের নতুন দায়িত্ব নিতে গিয়ে অনেককিছু ছেড়ে আসতে হয়। কারও সঙ্গে আপনার সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে, বুঝবেন যেভাবে-
অজুহাত
যখন আপনার কোনো প্রিয়জন আপনার সঙ্গে দেখা করতে চায় বা কথা বলতে চায় তখন আপনি কোনো অজুহাত তৈরি করেন বা অস্বস্তি বোধ করেন। তার সঙ্গে সময় কাটাতে বিরক্ত বোধ করতে পারেন, এমনকী একসময়ের উপভোগ্য ক্রিয়াকলাপগুলোও এখন অপ্রতুল এবং অপূর্ণ বলে মনে হয়।
ঘন ঘন তর্ক হওয়া
সম্পর্কের খাতিরে মাঝে মাঝে তর্ক হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে যদি এমন হয় যে সব সময়েই আপনাদের মাঝে তর্ক বেঁধে যাচ্ছে তাহলে সতর্ক হোন। যে সম্পর্ক খারাপ স্মৃতি বাড়িয়ে দেয়, তার থেকে বের হয়ে আসাই ভালো। যদি আপনি কারও সঙ্গ উপভোগ না করেন তবে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব বা সম্পর্ক রাখা ক্লান্তিকর হয়ে উঠবে।
কথোপকথন
হয়তো তার সঙ্গে কথা বলতে আপনার এখন বিরক্ত লাগে, কিন্তু একটা সময় তা ছিল সহজ এবং সাবলীল ছিল। কথোপকথনে আগের মতো প্রাণ নেই আর। হয়তো ঘুরেফিরে সেই একই কথা হচ্ছে। একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে সম্পর্ক। তাই কথোপকথনের দিকটা খেয়াল করুন। যদি এমন একঘেয়ে হয়ে ওঠে তাহলে বুঝবেন সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে।
সংযোগের অভাব
দু’জনের মধ্যে যদি সংযোগের অভাব হয় তাহলে হতে পারে তা সম্পর্কের অবনতির লক্ষণ। দু’জনের চিন্তা-ভাবনার পার্থক্যগুলো খেয়াল করুন। যদি তা অনেক বেশি হয় তাহলে সেই সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া মুশকিল হবে। আপনারা যখন দু’জনে দুই পথের পথিক, তখন একই পথে কীভাবে হাঁটবেন?
সাফল্য শেয়ার করা
হয়তো বুঝতে পারবে না এই ভয়ে সাফল্য ভাগ করতে দ্বিধা করেন। যেকোনো সম্পর্কের ভিত্তি হলো সবচেয়ে খুশির কিছু থেকে আপনার গভীরতম ভয়- সবকিছু শেয়ার করা। যদি এটি করার সময় আপনাকে চিন্তা করতে হয়, তাহলে সেই সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া মুশকিল।