ইসতিয়াক আহমেদ
কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাইম হত্যার মামলার প্রধান আসামী মোঃ রাজু র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে।
শনিবার রাত ২ টায় কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ী এলাকায় র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে রাজু নিহত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা র্যাব ১১ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি দল জেলার আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ি সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুঁড়ে। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়লে রাজু গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত রাজুকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রাজুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
গত ১০ ডিসেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং এর বর্তমান ও সাবেক ৭ শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার সম্পর্কিত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর এটায় প্রথম কোনো ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা।
নিহত রাজু কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার নিহত সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈম এর মা নাজমা আক্তার বাদী হয়ে রাজুকে প্রধান আসামী করে ৩ জন নামীয় ও অজ্ঞাত আরও ৬ জনকে আসামি করে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের হায়দ্রাবাদ সীমান্তে মাদক কারবারির গুলিতে মহিউদ্দিন সরকার নাঈম নিহত হন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মহিউদ্দিন সরকার নাঈমকে গুরুতর আহত অবস্থায় দুজন বিজিবি সদস্য এনে হাসপাতালে নিয়ে যেতে নির্দেশ দেন। এ সময় বিজিবি সদস্যরা বলেন, সীমান্তে মারামারিতে আহত হয়েছেন মহিউদ্দিন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিতে বলে তাঁরা চলে যায়। পরে ওই দুই যুবক মহিউদ্দিন সরকারকে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুজাহিদুল ইসলাম মৃত ঘোষণা করেন।