কুমিল্লামঙ্গলবার, ১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পরাজিত প্রার্থী কাটলেন সেচের ড্রেন, অনিশ্চিত ৫০একর জমির চাষাবাদ

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩ ১০:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ গোলাম সারওয়ার, মুরাদনগর প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মুরাদনগরে ইউপি নিবাচনে সদস্য পদে পরাজিত প্রার্থী কতৃক বিজয়ী প্রার্থীর সেচ প্রকল্পের ড্রেন কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ড্রেন কেটে ফেলায় এখন সেচ বঞ্চিত হয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০একর জমির চাষাবাদ। এমন কর্মকান্ডে বিপাকে পড়েছেন এলাকার শতাধিক কৃষক। গত ২৯শে আগস্ট উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উপজেলার মহেশপুর গ্রামের প্রায় ১০০একর জমি নিয়ে বিএডিসির অনুমোদিত পানি সেচ প্রকল্পের কাজটি ১৯৯২ থেকে পরিচালনা করে আসছে পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুর রহিম সরকার।

রহিম সরকার, বলেন ৩৫ বছর যাবৎ আমি এই ডিপকলের দায়িত্ব পালন করছি। এতোদিন কেউ কোন প্রকার ক্ষতি করেনি। কিন্তু গত ইউপি নির্বাচনে আমার প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী হেরে যাওয়ায় আমার প্রতি তার ক্ষোভ সৃষ্টি হয়, যার প্রেক্ষিতে সে অমল সরকার নামে একজনের জমি ৩য় পক্ষ হিসেবে বন্ধক নিয়ে গত মঙ্গলবার (২৯ আগষ্ট) সেই জমির পাশ দিয়ে যাওয়া সেচ প্রকল্পের ড্রেনটি কেটে প্রায় ৫০ একর জমির সেচ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। ড্রেন কেটে ফেলায় এখন সেচ বঞ্চিত হয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০একর জমির চাষাবাদ। এখন সেই জমি গুলোতে পানির সেচ দেয়ার কোন বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন এলাকার বহু কৃষক। এ ব্যাপারে ৩রা সেপ্টেম্বর বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

এ বিষয়ে তিনি বাঙ্গরাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান।

মহেশপুর গ্রাামের কনু মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এই ডিপকলটি আমাদের এই এলাকার সব ফসলী জমিতে পানি সরবারহ করে আসছে। নির্বাচনে জয় পরাজয় আছে। তাই বলে কি কেউ এমন কাজ করতে পারে? এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় আনা হোক।

কৃষক নশু মিয়া বলেন, এই ব্যক্তি আগেও একটা ঝামেলা করেছে যেটা ইউএনও স্যার ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে সমাধান করে দিয়ে গেছে। কিন্তু সে এখন ড্রেন কেটে আমাদের চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা তার এই অসৎ কর্মকান্ডের সঠিক বিচার চাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত খোরশেদ আলম বলেন, রহিম মেম্বারদের সাথে ৩০ বছর ধরে আমাদের পারিবারিক দন্দ চলে আসছে, নির্বাচনের পর সে দুই বছর ধরে আমার জমিতে সেচের পানি দেয়নি। তাই আমি ড্রেন কেটে দিয়েছি।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা বিএডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাউছার আল মামুন বলেন সেচ কমিটির সভাপতি বরাবর অভিযোগ দিলে সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন এই ঘটনায় রহিম মেম্বার থানায় জিডি করেছেন। তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দিন ভূইয়া জনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।