আব্দুল্লাহ, কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ একলিমুর রেজার মৃত্যুতে র্যালি, শোকসভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ। রবিবার (৩০ জুলাই) সকাল ১১ টায় বিজ্ঞান অনুষদের সামনে থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক ঘুরে বিজ্ঞান অনুষদে এসে শেষ হয়।
এরপর বিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স রুমে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশের সঞ্চালনায় শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী।
শোকসভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মৃত্যু অবদারিত কিন্তু আকস্মিক মৃত্যুগুলো আমাদের একটু বেশি বেদনা দিয়ে থাকে। আমি বিভাগকে বলবো এটা যেন এক দিনেই শোক পালন না থাকে, আপনারা এলামনাই থেকে, বিভাগ থেকে তার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। ওনার মার খোঁজ খবর নিবেন, ওনার মা যেন এটা ভুলে না যায় যে আমার সন্তান মারা গেছে, তার অনেক ছেলে জীবিত আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘শাহ একলিমুর রেজা নিজের মেধাবলে শিক্ষক হয়েছেন। তার পরিবার তার ইনকামেই চলতো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে, বিভাগ থেকে, বিভাগের এলামনাই থেকে তার পরিবারের জন্য একটা সহযোগিতার ব্যবস্থা করা যায় তাহলেই তার প্রতি আমাদের যেই মনোভাব সেটা প্রকাশ পাবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, তার মৃত্যুর সময় আমি মালেয়শিয়া ছিলাম। সেখনে তার মৃত্যুর খবর শুনে আমি সারাদিন শোকাহত ছিলাম। তাকে তো আমরা আর ফিরে পাবো না কিন্তু তাকে যেন তার বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় ভুলে না যায় সেজন্যে আমি বলেছি পরিসংখ্যান বিভাগের একটি ল্যাব তার নামে হবে। পরিসংখ্যান বিভাগের যে তিনটা স্কলারশিপ আমরা দেই তা তার নামে দেওয়া হবে। আমরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে একটা চিঠি দিবো, কেন আমাদের শিক্ষক এই অবজ্ঞার শিকার হলো, আমরা তো আর তাকে ফিরে পাবো না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি ডাক্তারদের ডেকে বলেছি আগে মেডিকেল ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকতো এখন আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেডিকেল সেন্টারে বেড, নার্স, ডাক্তারের সঙ্কট। সরকার গভমেন্ট না দিলে আমরা এখানে কিছুই করতে পারছি না। আমরা শুধু নেগোশিয়েট করছি৷ আমরা বেক্সিমকো কোম্পানির সাথে কথা বলেছি, তারা এখানে প্রয়োজনীর সরঞ্জাম দেবে।’
এছাড়া বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. খলিফা মোহাম্মদ হেলাল, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ একলিমুর রেজার মা, আত্মীয়স্বজনসহ পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।












