কুমিল্লারবিবার, ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুমিল্লায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশের ড্রেনে মিলল নবজাতকের মরদেহ

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
অক্টোবর ১৭, ২০২৫ ৭:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট:

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের জানালার পাশ থেকে অর্ধগলিত এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পশ্চিম পাশের জানালা সংলগ্ন ড্রেন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় ফয়েজ আহমেদ নামে এক যুবক জানায়, তিনি একজন অসুস্থ রোগীকে নিয়ে জরুরি বিভাগে আসেন। এ সময় চারপাশে তীব্র দুর্গন্ধ টের পান।

পরে তিনি দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে জরুরি বিভাগের জানালার পাশে তাকালে ড্রেনে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা নবজাতকের অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পান।

জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল কাউছার জানান, ‘দুর্গন্ধ পাচ্ছিলাম ঠিকই, কিন্তু পরে এক ব্যক্তি জানালার পাশের ড্রেনে নবজাতকের গলিত মরদেহ দেখতে পান। বিষয়টি আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। খবর পেয়ে দেবীদ্বার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।’

স্থানীয়রা জানান, এটি নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগেও হাসপাতালের সভাকক্ষের পেছনে, আবাসিক এলাকার পরিত্যক্ত স্থানে এবং ড্রেনে নবজাতকের মরদেহ পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটি হলেও কোনো ঘটনারই সঠিক ফলাফল প্রকাশ পায়নি।

দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক আবাসিক চিকিৎসক ডা. মঞ্জুর রহমান জানায়, ‘ঘটনা উদঘাটনে তদন্ত চলছে। ডেলিভারি রেজিস্টার খতিয়ে দেখা হবে। এটি হয়তো অপগর্ভজাত নবজাতকও হতে পারে। তবে জরুরি বিভাগের পাশে ফেলে রাখাটা সন্দেহজনক। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. জামশেদুল আলম জানান, ‘নবজাতকটি পূর্ণাঙ্গ বলে মনে হচ্ছে, সম্ভবত ৩/৪ দিন আগের ঘটনা। ডেলিভারি রেজিস্টার ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করে তদন্ত চলছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মহিবুস সালাম খান জানান, ‘বিষয়টি তদন্তাধীন। হাসপাতালের কিছু সিসি ক্যামেরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রেজিস্টারের আওতায় কোনো নবজাতক এভাবে ফেলে দেওয়ার সুযোগ নেই। কেউ হয়তো অপগর্ভজাত শিশুটিকে হাসপাতালে ফেলে গেছে।’

দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মাঈনুদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’