স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আ’লীগ নেতার সাথে পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে লাইভে রেখে রুমন (৩৫) নামের এক ওমান প্রবাসী আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৬শে জুলাই) দুপুর বাংলাদেশ সময় ১২ ঘটিকায় ওমানের সালালাহ এলাকায়। ওমান থেকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নিহত রুমনের ভায়রা ওবায়দুল হক। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের ইশানচন্দ্রনগর গ্রামে ওই প্রবাসীর বাড়িতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৯ বছর আগে পারিবারিক পছন্দে খালাতো বোনের সাথে রুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের চার মাস পর রুমন ওমান চলে যায়। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। রুমন খালাতো বোন পান্নার ইচ্ছানুযায়ী শ্বশুর ভাড়িতে অবস্থান করতে থাকে। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ও কলহের সৃষ্টি হয়। গত শনিবার রুমন স্ত্রীর সাথে লাইভ ভিডিও কলে একটি ভিডিও নিয়ে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে রুমন স্ত্রীকে লাইভে রেখেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
রুমনের স্ত্রী পান্না আক্তার জানায়, ‘আমাকে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করছে দেখে লাইভ কল কেটে একই ফ্যাক্টরিতে কাজ করা আমার মামাতো বোনের জামাই ওবায়দুল হককে বিষয়টি জানাই। সে গিয়ে দেখে স্বামী ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন। তখন আমি জানতে পারি স্বামী আত্মহত্যা করেছেন।’
তবে যে ভিডিও নিয়ে ঝগড়ায় আত্মহত্যা সেই ভিডিওর কথা অস্বীকার করেন পান্না।
রুমনের মা জানান, ‘আমি শখ করে বোনের মেয়েকে পছন্দ করে বিয়ে করাই। বিয়ের পর থেকে তারা আলাদা থাকে। আমার খোঁজখবর রাখতোনা। লোক মারফত জানতে পারি আমার পুত্রবধূ পরকীয়ায় জড়িয়ে গেছে। যদি এই কারণে আমার ছেলে আত্মহত্যা করে থাকে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
নিহতের ভাই আবদুল মমিন জানায়, ‘বিয়ের পর ভাই শ্বশুর বাড়িতে বসবাস শুরু করে। ভাই প্রবাসে থাকার সুবাধে ভাবী পান্না বেগম স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল কাদেরের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। তখন দলীয় দাফটের কারণে আমরা এ বিষয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করতে পারিনি।’
ইশানচব্দ্র গ্রামের চা দোকানদার লিটন মিয়া জানান, ‘আওয়ামী দলীয় প্রভাবের কারণে আমার ছোট ভাই রুমনের স্ত্রী পান্নাকে সংশোধনে চেষ্টা করলে পরকীয়া প্রেমিক আওয়ামী নেতা কাদের হুমকি ধামকি দিত।’
আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদির বলেন, আমি তার বাবার সাথে একটি জমি ক্রয় করার পর ঘর করে দিয়েছি এই জন্য আমার সাথে সম্পর্ক, ঐ জমি ক্রয় করার সুবাদে সত্রুতা কারণে আমি আওয়ামীলীগ করার জন্য আমার কে এই অভিযোগ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি যদি করি থাকি আমার বিচার আল্লাহ তায়ালা করুন। অপরদিকে প্রবাস থেকে নিহতের ভায়রা ওবায়দুল হক জানান, ‘ফুফাতো শ্যালিকা পান্নার ফোন পেয়ে ওমানের সালালাহ এলাকায় গিয়ে দেখি একটি টিনশেড ঘরে রুমনের লাশ ঝুলছে। তাৎক্ষনিক খবরটি দেশে জানাই।’