ডেস্ক রিপোর্ট:
হামজা চৌধুরীর শৈশবের ক্লাব লেস্টার সিটি। দলটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার কতশত স্মৃতি। কিন্তু ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ক্লাবটির জার্সিতে শুরুর একাদশে সুযোগই পাচ্ছিলেন না তিনি। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ধারে শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে খেলতে যান ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশীপে। আর সেখানেই দেখা গেল হামজার পুরাতন রূপ।
এদিকে প্রিমিয়ার লিগে সরাসরি কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হয়েছে শেফিল্ড ইউনাইটেড। কিন্তু এখনও সেই সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। প্লে-অফের সেমিফাইনালে অবস্থান করছে হামজারা। ব্লেডসদের লাল-সাদা জার্সিতে কখনো মিডফিল্ডে আবার কখনো রাইটব্যাক হয়ে নিজের জাত চিনিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আর মৌসুমের একেবারে শেষ সময়ে এসে পেলেন সেটারই স্বীকৃতি।
স্কাই স্পোর্টসের সাংবাদিক ডেভ ট্রিহান এবং ব্রিটিশ-দক্ষিণ এশীয় ফুটবলারদের স্কাউট জোহাইব রশিদের বর্ষসেরা দক্ষিণ এশীয় ফুটবলারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের এই মিডফিল্ডার। বিগত কয়েক বছর ধরেই ইউরোপের সব স্তরের ফুটবলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্রিটিশ-দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবলারদের নিয়ে বর্ষসেরা একাদশ সাজিয়েছেন ডেভ ট্রিহান।
সেই একাদশেই টানা দুই বছর সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন হামজা চৌধুরী। চলতি মৌসুমে শেফিল্ডের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদেই এই একাদশে জায়গা নিশ্চিত হলো তার। এক সাংবাদিক এবং এক স্কাউটের মাধ্যমে গড়া এই ১১ জনের একাদশে অবশ্য নারী এবং পুরুষ উভয়ের প্রতিনিধিত্ব আছে। একাদশে নারী ফুটবলার আছেন তিনজন।
বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে এই স্কোয়াডে আছেন হামজা চৌধুরী। মাঠের পারফরম্যান্স এবং দলগত অর্জনের দিক থেকেও বাংলাদেশি মিডফিল্ডারই আছেন সবার ওপরে। ৪-৩-৩ ফর্মেশনে এই স্কোয়াডে মিডফিল্ডার হিসেবেই জায়গা করে নিয়েছেন হামজা। মধ্যমাঠে তার সঙ্গী ভারতীয় মিলি চন্দ্রানা এবং পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত জিদান ইকবাল।
ইউরোপিয়ান ফুটবলে ব্রিটিশ-দক্ষিণ এশীয়দের বর্ষসেরা একাদশ : হামজা চৌধুরী (শেফিল্ড ইউনাইটেড), জিদান ইকবাল (এফসি উট্রেখট), জাসবির সিং (ট্যামওর্থ এফসি), মেল বেনিং (শ্রেসবুরি টাউন), ক্যাম ক্যান্ডোলা (কিডারমিনিস্টার হ্যারিস এফসি), ড্যানি ভট্ট (ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স), ডিলান মারকান্দে (ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স), ব্রেন্ডন খেলা (ব্র্যাডফোর্ট সিটি), আসমিতা অ্যালি (লেস্টার সিটি নারী দল), মিলি চন্দ্রানা (নটিংহ্যাম ফরেস্ট নারী দল), সিমরান ঝামাত (ওয়েস্টব্রমউইচ নারী দল)।