ডেস্ক রিপোর্ট:
ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘারিবাদি বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা সম্ভব। ফিলিস্তিনপন্থী দেশগুলো একত্রিত হয়ে গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে এ শাস্তি দিতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত নিউজ সাইট আইএসএনএ এই তথ্য জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইতোমধ্যে নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। যদিও ইসরায়েল এই আদালতের এখতিয়ার প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ঘারিবাদি উল্লেখ করেন যে, আইসিসি এবং আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে) উভয়ই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলার তদন্ত করছে। তবে তিনি স্বীকার করেন যে জাতিসংঘের সাথে সংযুক্ত এই ধরনের আদালত সাধারণত মৃত্যুদণ্ড দেয় না।
তবুও, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা অসম্ভব নয় বলে তিনি মনে করেন। কাজেম ঘারিবাদি বলেন, “বিশ্বের ৫৫টিরও বেশি দেশে এখনো মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। ফিলিস্তিনের জনগণকে সমর্থন করা এবং ইসরায়েলের অপরাধের বিরোধিতা করা একাধিক দেশ একত্রিত হয়ে একটি যৌথ আদালত গঠন করতে পারে এবং সেখানে এ ধরনের শাস্তি ঘোষণা সম্ভব।”
গত মাসে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি একই ধরনের মন্তব্য করে বলেছিলেন, নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্টের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত।
গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। বিভিন্ন সংস্থার মতে, মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
জাতিসংঘ গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে বারবার সতর্ক করেছে এবং ইসরায়েলকে ত্রাণ সরবরাহে বাধা না দিতে আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, ক্যাথলিক চার্চের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন গণহত্যা কি না, তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তদন্ত করা উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, গাজায় যা ঘটছে, তাতে গণহত্যার বৈশিষ্ট্য দেখা যাচ্ছে।