আজ সোমবার ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। ৫৭০ সালের এই দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আরবের মক্কা নগরীতে কোরাইশ বংশের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁকে মানবজাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছিল।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ পক্ষকালব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ উপলক্ষে সরকারিভাবে আজ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণীতে মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
তৎকালীন আরব সমাজ অন্ধকারের যুগে নিমজ্জিত ছিল, যা আইয়ামে জাহেলিয়াত নামে পরিচিত। তারা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করতো। সেই অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার যুগ থেকে মুক্তি দিতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রেরণ করেন।
মহানবী (সা.) তরুণ বয়স থেকেই আল্লাহর প্রতি অনুরক্ত ছিলেন এবং প্রায়ই হেরা গুহায় ধ্যান করতেন। ২৫ বছর বয়সে তিনি বিবি খাদিজার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ৪০ বছর বয়সে তিনি নবুয়ত প্রাপ্ত হন এবং আল্লাহর কাছাকাছি আসেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মুসলিম সম্প্রদায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করে। এ উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংস্থা নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর জীবন ও শিক্ষার ওপর আলোচনা, মিলাদ এবং দোয়া মাহফিল। ইসলামিক ফাউন্ডেশন পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
এই দিন উপলক্ষে দেশের হাসপাতাল, কারাগার, শিশুসদন, বৃদ্ধাশ্রম এবং মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে উন্নত খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন সারা দেশে ওয়াজ, মিলাদ, দোয়া মাহফিল, ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবং ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনীর মতো বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।