শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিলের দাবি উঠেছিল বিভিন্ন মহল থেকে। সেই ধারাবাহিকতায়, আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় কালো টাকা সাদা করার বিধান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, যিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়েরও উপদেষ্টা।
যমুনার গেটে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে কালো টাকা সাদা করার নিয়ম বন্ধ করা হবে। সরকার এই সুযোগ থেকে যে পরিমাণ অর্থ আদায় করতে পারে তা খুবই নগণ্য, তবে এর ফলে মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটে। অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।”
চলতি অর্থবছরের বাজেটে নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হলে তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। আগামী জুলাই থেকে এক বছরের জন্য এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যেখানে নগদ টাকা ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে বৈধ করা যাবে। এছাড়াও, নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে জমি, ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট কিনেও টাকা সাদা করা যাবে, যা নির্ধারিত কর অনুযায়ী স্থানভেদে আলাদা হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, দেশের সর্বোচ্চ আয়করের হার ২৫ শতাংশ হলেও কালো টাকা সাদা করার বিশেষ সুবিধা দেওয়ার ফলে সৎ করদাতাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে, এবং এটি অসৎ করদাতাদের পুরস্কৃত করার সমতুল্য।












