কুমিল্লামঙ্গলবার, ১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ব্রাহ্মণপাড়ায় বন্যার পানিতে মাছ ধরার জাল বিক্রির ধুম

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
আগস্ট ২৯, ২০২৪ ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ব্রাহ্মণপাড়ায় বন্যার পানিতে মাছ ধরার জাল বিক্রির ধুম

স্টাফ রিপোর্টার: 

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বন্যার পানিতে মাছ ধরার জন্য নানান ধরনের জাল (ফাঁদ) বিক্রির ধুম লেগেছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার সদর বাজার ও ধান্যদৌল বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। স্থানীয় মানুষজন ভ্রাম্যমাণ জালের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন এবং নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের জাল কিনছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা বর্ষণ, উজানের ঢল এবং গোমতী ও সালদা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া। দীর্ঘ ২০ বছর পর এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে এখানকার মানুষ। চারদিকে পানি থইথই করছে, ভেসে গেছে অসংখ্য পুকুর, খাল ও নদীর মাছ। এই মাছ ধরতে স্থানীয়রা বিভিন্ন ফাঁদ ব্যবহার করছেন। ফলে বাজারে মাছ ধরার জালের চাহিদা বেড়েছে। ঝাঁকি জাল, কনুই জাল, কইয়া জাল, ম্যাজিক জাল, বুচনা জাল, ভেসাল জাল, হাত জাল, কুঁড়ো জাল, ব্যাগ জাল এবং ঠেলা জাল সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে ভৌগোলিক এলাকা অনুযায়ী এসব জালের নাম ভিন্ন হতে পারে।

উপজেলার দুলালপুর এলাকার বাসিন্দা বশির আহমেদ বলেন, “বন্যার পানিতে অনেক মাছ পাওয়া যাচ্ছে। আমিও বাজারে এসেছি জাল কিনতে। দরদাম করছি, দামে বনে গেলে দুটো ম্যাজিক এবং একটি কনুই জাল কিনব।”

নাগালই এলাকার বাসিন্দা হিরন মিয়া বলেন, “এ বছর বন্যায় পুকুরের সব মাছ বেরিয়ে গেছে। তাই বন্যার পানিতে সব জায়গায় মাছ পাওয়া যাচ্ছে। আমার একটি ভেসাল জাল পাতা আছে, আরও একটি কিনতে বাজারে এসেছি।”

জাল বিক্রেতা আলতাফ হোসেন বলেন, “প্রতিদিন একেক বাজারে গিয়ে মাছ ধরার জাল বিক্রি করি। এ বছর ব্যবসা বেশ ভালো চলছে। বন্যায় জালের যে চাহিদা, তা আমার ব্যবসায়ী জীবনে আগে কখনো দেখিনি। বিশেষ করে কনুই জাল, ম্যাজিক জাল এবং ভেসাল জালের চাহিদা বেশি।”

জাল বিক্রি করতে আসা শাহ আলম বলেন, “আমি মৌসুমি ব্যবসা করি। জালের চাহিদা সরবরাহের চেয়ে বেশি। এখন পর্যন্ত ২৯টি জাল বিক্রি করেছি, এবং সব বাজারেই জালের চাহিদা রয়েছে।”