ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, এমপিদের অনেকেই বিদেশে পালিয়েছেন। কেউ কেউ দেশেই গা ঢাকা দিয়েছেন। আবার কয়েকজন বিদেশ পালানোর সময় বিমানবন্দরে আটক হয়েছেন। এদের মধ্যে সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস পিঠ বাঁচাতে ভারতে পালিয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে।
তবে এরই মধ্যে ফেরদৌসের এমন দুঃসময়ে আরও একটি দুঃসংবাদ ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে চেপে বসলো নায়কের ঘাড়ে।
জানা গেল, ছাত্র আন্দোলনে নীরব থাকায় টালিউডের একটি সিনেমা থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। অর্কদীপ মল্লিকা নাথের ‘মীর জাফর চ্যাপ্টার টু’ সিনেমায় অভিনয় করার কথা ছিল ফেরদৌসের।
এ বিষয়ে সিনেমার প্রযোজক রানা সরকার গণমাধ্যমকে জানালেন, এ সিনেমায় আর থাকছেন না ফেরদৌস। তার কথায়, সিনেমাটি দুই বাংলার দর্শকদের টার্গেট করে বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের, বিশেষত ছাত্রদের আবেগের কথা মাথায় রেখে। আমার কোনো সিনেমায় বাংলাদেশের এমন কোনো অভিনেতা বা অভিনেত্রীদের অভিনয় করাব না, যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন না। সে হিসেবেই ফেরদৌসকে আমরা সিনেমাটিতে রাখছি না।
প্রযোজক আরও জানান, তিনি কিছুদিন ধরে কোনো সাড়া শব্দের করছিলেন না। গত জানুয়ারি থেকে বারবার যোগাযোগ করা হলেও ফেরদৌসের সাড়া পাওয়া যায়নি।
গত বছরের শুরুর দিকে অভিনয়শিল্পীদের লুক প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছিল ‘মীর জাফর চ্যাপ্টার টু’ সিনেমার। এখনও শ্যুটিং শুরু হয়নি। ফেরদৌসের কারণেই কি এই দেরি? এমন প্রশ্নের জবাবে রানা সরকার বলেন, ২০২৩ সালেই সিনেমার শ্যুটিং হওয়ার কথা ছিল, তবে সেটা সম্ভব হয়নি। ফেরদৌসের কারণে নয়, বিভিন্ন কারণে একটু দেরি হচ্ছে। যেহেতু এটার শ্যুটিং হবে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায়, তাই সেখানে শ্যুটিং করার ক্ষেত্রে অনুমতির একটা বিষয় আছে।
তবে ফেরদৌসের পরিবর্তে সিনেমাটিতে কে থাকতে পারেন, সে নিয়েও কথা বলেছেন রানা সরকার। তিনি জানান, ফেরদৌসের পরিবর্তে বাংলাদেশের অভিনেতা জিয়াউল রোশান থাকতে পারেন।
প্রযোজক বলেন, রোশানের সঙ্গে আমাদের কোনো ঝামেলা নেই। শ্যুটিং শুরুর আগে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। সে করতে চাইলে অবশ্যই সিনেমায় থাকবে। সে সময় ফেরদৌস ভাইয়ের রিপ্লেসমেন্ট করা হবে।