কুমিল্লায় ছেলের হাতে মা খুনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লা তিতাস উপজেলার সাতানি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকায় মঞ্জুরা বেগমকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলে নবীর হোসেনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা স্থানীয় সূত্রে জেনে বুধবার সকালে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে।
নিহত মঞ্জুরা বেগম (৬৫) কুমিল্লা তিতাস উপজেলার সাতানি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের শান্তি মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শান্তি মিয়ার দুই ছেলে তিন মেয়ে। ছোট ছেলে প্রবাসী বাবুল মিয়া বাহরাইনে থাকে। আর বড় ছেলে নবীর হোসেন স্থানীয় একটি কোম্পানিতে চাকুরী করে। শান্তি মিয়ার বয়স হয়েছে, কিছুই করে না। সাংসারিক খরচের জন্য তাকিয়ে থাকতে দুই ছেলের দিকে। ছোট ছেলে প্রবাস থেকে মাস শেষে টাকা পাঠালেও বড় ছেলে খুব একটা সংসার খরচ দেয় না। এতে করে কয়েকদিন পর পরই ঘরে বড় ছেলে নবীর হোসেনের সাথে তার বাবা মার। এর আগেও কয়েকবার সাংসারিক খরচ নিয়ে নবীর হোসেনের সাথে তার মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়রা বসে সমস্যার সমাধান করে।
মঙ্গলবার রাতে সংসারের খরচ চেওয়াতে নবীর হোসেন তার মাকে গালিগালাজ করে। শুরু হয় বাকবিতন্ড। এক পর্যায়ে হিতাহিতজ্ঞান হারিয়ে চেয়ার দিয়ে মাকে মারধর করতে শুরু করে। এই সময় তার বাবা শান্তি মিয়া বাধা দিলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে মা মঞ্জুরা বেগমকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায় মা মাটিতে লুটে পড়লে স্থানীয় উদ্ধার করে তিতাস উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
রাতেই ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সকালে পুলিশ এসে মঞ্জুরা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এই বিষয়ে কুমিল্লা তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষ্ণ কান্তি দাস সময় সংবাদকে বলেন, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। নিহতের শরিরে কোনো আঘাতের চিহ্ন আমরা পায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মূল ঘটনা জানা যাবে। আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।












