কুমিল্লাশুক্রবার, ১১ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সবেমাত্র দায়িত্ব পেয়েছি, বুঝে উঠতে সময় লাগবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
জানুয়ারি ২১, ২০২৪ ৭:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট:

নতুন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুস সালাম বলেছেন, সবেমাত্র এই মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব নিয়েছি। সবকিছু বুঝতে কিছুটা সময় লাগবে। এই মুহূর্তে আমি পরিকল্পনা কমিশনের যে প্রজেক্টস আছে, সেসব প্রজেক্টের চাপায় পড়ে আছি। এখান থেকে বের হতে পারছি না এখনো।

রোববার (২১ জানুয়ারি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি মিলনায়তনে সদস্য সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমের বিদায়ী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় প্রসঙ্গে আব্দুস সালাম বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় একটা মহাসাগর। এখানে মাত্র পাঁচদিনে সাঁতার কাটা অত্যন্ত দুষ্কর ব্যাপার। পরিকল্পনা কমিশনের কাজ বোঝার জন্য ও জানার জন্য আমাদের আরও সময় লাগবে।

তিনি বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু সহজ হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি। কারণ আমি কাজের মানুষ। এম মান্নানকে আমি আগে থেকেই জানি। তার সাথে আমার আগে থেকেই পরিচয় ছিল। তিনি যথাযথভাবে এখানে মেধার পরিচয় দিয়েছেন। তার যে সহকর্মী ছিলেন শামসুল আলম সাহেব, তাদের প্রচেষ্ঠায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অন্যান্য উচ্চতায় গেছে। এম এ মান্নান অত্যন্ত সফল সিভিল সার্ভেন্ট, সফল রাজনীতিবিদ।

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, উনারা অনেক প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। সচিবদের আমি ধন্যবাদ জানাই, তাদের বক্তব্যে দুইজন সাবেক মন্ত্রীকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আমি তাদের সঙ্গে একমত… এই মন্ত্রণালয়ে তাদের মতামত সবসময় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে আমি মনে করি। আমরা তাদেরকে বিদায় দিচ্ছি না, আমরা তাদেরকে আবারও ফিরে আসার সুযোগ করে দিচ্ছি।

নতুন পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা চাইব তারা আমাদের কাজে নানাভাবে সহায়তা করবেন। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতার কন্যা অত্যান্ত মেধাবী ও বিচক্ষণ। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটা স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। এই কাজে আমাদের সবাইকে স্মার্টভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

সদস্য বিদায়ী পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এই মন্ত্রণালয়ে ১০ বছর সময় পার করেছি। সচিবালয়ের মতো পরিকল্পনা কমিশনের চত্বরের পরিবেশ এক নয়। এখানকার পরিবেশ অনেক মনোরম, অনেক গাছপালা আছে। সেই কারণে এখানকার আমলারা অন্যান্য চত্বরের আমলাদের মতো নয়। নতুন মন্ত্রীর সঙ্গে আমার কয়েকবার পরিচয় হয়েছে। উনি যখন কুমিল্লার জিওসি ছিলেন, তখন উনার সহায়তা চেয়ে ফোন করেছি। দ্রুত সময়ে সেই সহায়তা পেয়েছি, গ্রামের মানুষের জন্য। এটা বিদায় নয়, বিভিন্ন জায়গায় দেখা হবে।

সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার, আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিনসহ সংশ্লিষ্টরা বিদায়ী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।