কুমিল্লাবৃহস্পতিবার, ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড সোনালী ব্যাংকের অফিসারের

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
অক্টোবর ১৭, ২০২৩ ৪:০৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট:

প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় করা মামলায় সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. নাইমুল ইসলামকে দুটি পৃথক ধারায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া একই মামলার অপর তিন আসামিকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন— সোনালী ব্যাংকের হিসাবধারী রফিকুল ইসলাম, মো. আল আমিন ও মোছা. লিপি বেগম।

রায়ে আসামি নাইমুলের প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের দুটি পৃথক ধারায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি অর্থ আত্মসাতের ধারায় তাকে ৮১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। অপর ধারায় তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অপর তিন আসামির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৮১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

এদিন কারাগারে আটক আসামি নাইমুল ও রফিকুলকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা আল-আমিন উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে আসামি লিপি উপস্থিত না থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২১ জুন পর্যন্ত আসামিরা বিভিন্ন তারিখে ১ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ২০৪ টাকা নির্বারিত হিসাবে জমা না করে চারটি হিসাবে পরস্পর যোগসাজশে স্থানান্তর করে প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেন।

এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৩ জুন সোনালি ব্যাংকের বি ওয়াপদা ভবন করপোরেট শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

পরে ২০২২ সালের ৮ মার্চ পলাতক লিপি বেগমের অনুপস্থিতিতেই আসামিদের বিচার শুরু হয়। মামলাটির বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে ১৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।