কুমিল্লাবুধবার, ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রধানমন্ত্রীর নজরে পড়া চাঁদপুরের সেই ‘ক্যান্টিন বয়’ রাব্বি এখন স্কুল ছাত্র

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩ ৬:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর এবার শিশু রাব্বির পাশে জেলা প্রশাসন। প্রতিপ্রতিনিয়ত তার খোঁজখবর রাখছেন সরকারের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চোখে পড়া সেই রাব্বি এখন স্কুলে পড়ছে। তার শিক্ষা ব্যয় মেটাতে প্রধানমন্ত্রী অনুদান দিয়েছিলেন পাঁচ লাখ টাকা।

গত মাসে চাঁদপুরের একটি ব্যাংকে জমা রাখা হয় সেই টাকা। এরপর এক মাসের লভ্যাংশ পেয়ে যায় রাব্বি। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান লভ্যাংশের সেই টাকা তুলে দেন রাব্বির হাতে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত জামিল সৈকত এবং রাব্বির মা রাজিয়া বেগম।

এর আগে গত ১৫ জুলাই জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নিজের চোখ পরীক্ষা করাতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তার সামনে হাজির হয় সেখানকার ক্যান্টিন বয় রাব্বি। প্রধানমন্ত্রী মায়ের মমতায় বুকে জড়িয়ে ধরে রাব্বির পরিবারের খোঁজখবর নেন। এক পর্যায়ে তিনি জানতে পারেন, চাঁদপুরের রাব্বি আর্থিক অনটনের শিকার।

তাই জীবন-জীবিকার জন্য এবং মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ক্যান্টিনে চাকরি নিয়েছে। বিষয়টি জেনে প্রধানমন্ত্রী তার কাছে জানতে চান, ‘আগামী দিনে তুমি কী হতে চাও?’ রাব্বি বলে, ‘আমি পড়ালেখা করে মানুষ হতে চাই।’ তার পরই পাল্টে যায় রাব্বির জীবনের দৃশ্যপট। গ্রামে ফিরে রাব্বি যেন স্কুলে ভর্তি হতে পারে তার জন্য পাঁচ লাখ টাকা অনুদান ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই টাকা চাঁদপুরের একটি ব্যাংকে জমা রাখা হয়। ওই টাকার লভ্যাংশ থেকে রাব্বির শিক্ষা ব্যয় মেটানো হচ্ছে।

এদিকে গৃহহীন রাব্বির মায়ের জন্য চাঁদপুর শহরের পাশে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর অধীনে জমিসহ নতুন আধপাকা বসতঘর হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক। সেখান থেকেই পাশের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয় রাব্বি। রাব্বির মা রাজিয়া বেগম বলেন, ‘রাব্বি আমার লক্ষ্মী ছেলে। এই ১৪ বছর বয়সে সে স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে পড়ছে। তার পড়াশোনার আগ্রহ দেখে আমার বড় আনন্দ লাগছে।’

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত জামিল সৈকত জানান, রাব্বির প্রতি জেলা প্রশাসক সার্বিক খোঁজখবর রাখছেন। কোনো অবস্থায় সে যেন শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে না পড়ে তার জন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যদের তাগিদ দিয়েছেন।