কুমিল্লারবিবার, ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুবি’র নৃবিজ্ঞান বিভাগের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা

প্রতিবেদক
CUMILLA PRESS
জুলাই ২৮, ২০২৩ ১২:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আব্দুল্লাহ, কুবি প্রতিনিধি :কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। ৷ বৃহস্পতিবার (২৭ই জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ৫০১ নম্বর কক্ষে বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ আইনুল হকের সভাপতিত্বে এবং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসেনা বেগমের সঞ্চালনায় এটি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বিভাগের ১৬ ব্যাচের নবীন বরণ এবং ১০ ও ১১ ব্যাচের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে নৃবিজ্ঞান সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কারও বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী বলেন, ‘যারা নবীন তারা বিভাগের নানা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেছে, তার মানে এটা একটা ইঙ্গিত দিচ্ছে এই বিভাগে আপনি যেই রূপ নিয়েই আসেন না কেন বিভাগ আপনাকে রূপান্তরিত করবে। এখানে নানান রঙ পাওয়া যায় পড়াশোনাটাই মূল রঙ। যেটার পাশাপাশি আরও অনেক রঙ আছে ক্লাসে, ক্লাসের বাইরে আড্ডায়, মাঠে, রাস্তায়। আপনি যত রকম রঙ করতে পারবেন আপনার জীবনকে ততই রঙিন করতে পারবেন। তাই আপনি যখন এখান থেকে চলে যাবেন আপনি বুঝবেন আপনার সবচেয়ে রঙিন সময়টাই এখানে কাটিয়েছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, নৃবিজ্ঞানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে বন্ধন সেটি প্রশংসনীয়। আমরা জানি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেই নৃবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা প্রধান ভূমিকা পালন করে। তোমরা জানো যে একমাত্র নৃবিজ্ঞান বিভাগই গবেষণায় অনেক এগিয়ে রয়েছে। নৃবিজ্ঞান বিভাগ সারা বাংলাদেশেই ভুমিকা রাখছে। আমি আশা করবো শিক্ষক ও শিক্ষার্থী একসাথে শিখবে। শিক্ষার্থীরা নিজে থেকে শিখবে তাহলেই প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হবে। এটা হতে পারে ডিবেট, হতে পারে সাংস্কৃতিক সংগঠন।

বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিদায় অবশ্যই একটা বেদনার ব্যাপার কিন্তু এখানে একটা ভালো দিক হলো তোমরা সফলভাবে এ জার্নি শেষ করেছো। আমি চাই, তোমরা জব সেক্টরে গিয়ে শ্রদ্ধাসহকারে কাজ করবা।

বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ আইনুল হক বলেন, পূর্বে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা গবেষণায় পারদর্শী ছিলেন না কিন্তু বর্তমানে শিক্ষকরা গবেষণায় এগিয়ে গিয়েছেন। এর পিছনে আমাদের বর্তমান ভিসি স্যারের অবদান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিদায়ীদেরকে পুথির মালা হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের মাধ্যমেই রিপ্রেজেন্ট করতে পারবে সেই প্রত্যাশা করি এবং নবীনরা বিভাগের সকল কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান, এনথ্রোপলজি সোসাইটির ভিপি মামুন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক আসাদ আরাফাত ও বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।