আব্দুল্লাহ, কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অফিসার্স এসোসিয়েশন নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের প্যানেল (জাকির-ছাদেক) এবারের নির্বাচনে সবগুলো পদের বিপরীতে প্রার্থী দিলেও আওয়ামীপন্থী হিসেবে পরিচিত এবং বিগত নির্বাচনে একাধিকবার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা একটি অংশ এবারের নির্বাচনে কোন প্রার্থী দেয়নি। জাকির-ছাদেক প্যানেলের অভিযোগ নিজেরা নির্বাচনে না এসে বিএনপিপন্থীদের দ্বারা স্বার্থ হাসিলের চেষ্টায় আছেন আওয়ামীপন্থী বলে পরিচিত জিনাত আমানরা। যদিও এই অভিযোগটিকে মিথ্যা, বানোয়াট দাবি করেন জিনাত আমান।
জাকির-সাদেক প্যানেলের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবারের নির্বাচনে তারা ১২ টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ক্রীড়া সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যান সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় গঠন্ততন্ত্র মোতাবেক তাদের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কিন্তু তাদের দাবি জিনাত আমান নিজেদের প্রার্থী না দিয়ে খোদ আওয়ামীপন্থী হয়েও বিএনপিপন্থীদের নির্বাচনী প্রচারনায় সহযোগিতা করছেন। এমনকি বিভিন্নভাবে মুঠোফোনের মাধ্যমেও অফিসার্সদের কাছে ভোট চাচ্ছেন।
এ ঘটনায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় দেখা যায়,
ক্রীড়া সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যান সম্পাদক পদে জাকির-সাদেক প্যানেল থেকে মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এবং মোশারফ-দেলোয়ার প্যানেল থেকে মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন খান নির্বাচন করবেন। এখানে মোশারফ-দেলোয়ার প্যানেল নিজেদের মতাদর্শ নিয়ে তাদের প্রচারিত পোস্টারে নির্দিষ্ট কিছু লিখেননি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের কাছে জানতে চাইলে মোশারফ-দেলোয়ার প্যানেলের মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন খান এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি। বিষয়টি মো. মোশাররফ থেকে জানতে বলেছেন। মো: মোশারফ হোসেন এই ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা পেশাজীবী সংগঠন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে বলা আছে কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী কেউ সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারবে না। তাই আমরা কোন রাজনৈতিক মতাদর্শ উল্লেখ করিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের যেকোনো আইডোলজি থাকতে পারে কিন্তু অফিসার্স নির্বাচনে আমরা কোনো দলের হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি।’
সাধারণ সম্পাদক পদে মো: ছাদেক হোসেন মজুমদার জাকির-ছাদেক প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী থেকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মোহাম্মদ ময়নাল হোসেন। নির্বাচনে ময়নাল হোসেনের প্রস্তাবক জিনাত আমান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাকির-ছাদেক পরিষদের সভাপতি প্রার্থী মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে একটি নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের অপর একটি পক্ষ অতীতে কয়েকবার নির্বাচন অংশগ্রহণ করে জয় লাভও করেছে। এই বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্লট পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় ভয়ে তারা নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। এমনকি অফিসসার্সদের কাছে মোবাইল ফোনেও ভোট চাচ্ছে। এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থীর নাম করে তারা বিএনপির প্রচারণা চালাচ্ছে।’
অভিযোগের ব্যাপার অস্বীকার করে জিনাত আমান বলেন, ‘আমাদের পরিষদ থেজে কোনো প্রার্থী দেওয়া হয়নি। এটি সত্য। তবে আমার ব্যাপারে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এসব কোনো কিছুর সাথেই আমি সম্পৃক্ত না। আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। আমার নামে যে বা যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের কোনো রাজনৈতিক আদর্শ নাই।’