ডেস্ক রিপোর্ট:
৩৬ বছর বয়সী জাপানের হোক্কাইডোর বাসিন্দা রাউতা ওয়াতানাবে তার জীবনযাপন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছেন। তার রয়েছে চার স্ত্রী ও দুই জন প্রেমিকা। ওয়াতানাবের লক্ষ্য হলো ৫৪ সন্তানের বাবা হওয়া এবং ‘বিয়ের দেবতা’ হিসেবে পরিচিত হওয়া।
প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি কোনো চাকরি করছেন না। তার স্ত্রীরা ও প্রেমিকাদের আয়ে তিনি জীবন কাটাচ্ছেন। স্ত্রীদের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে জাপানের সাধারণ আইনের ভিত্তিতে, যেখানে তারা দীর্ঘ মেয়াদে দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। শুয়েশা অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াতানাবে ইতোমধ্যে ১০ সন্তানের বাবা হয়েছেন। এর মধ্যে দুই সন্তান এবং তিন স্ত্রীর সঙ্গে তিনি বসবাস করছেন।
ওয়াতানাবে ঘরের সব কাজ নিজে করেন এবং তিনি একজন গৃহস্বামীর রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। রান্না, ঘর গোছানো এবং শিশুপালনের দায়িত্ব তিনি দক্ষতার সঙ্গে পালন করেন। তার পরিবারে প্রতি মাসে প্রায় ৬ হাজার মার্কিন ডলার খরচ হয়, যা তার চার স্ত্রী এবং প্রেমিকারা বহন করে থাকেন।
তার চার স্ত্রীর বয়স ২৪ বছর হলেও তারা একসঙ্গে বসবাস করেন না। ওয়াতানাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার দুই প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখছেন। ছয় বছর আগে তার প্রথম প্রেমিকা তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তিনি বিষণ্ণতায় ভুগতে থাকেন। সেই সময় তিনি ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করে একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
এ বছরের শুরুতে এক টিভি শোতে ওয়াতানাবে বলেন, ‘আমি নারীদের ভালোবাসি। যতক্ষণ একে অপরের প্রতি সম্মান থাকে, ততক্ষণ কোনো সমস্যা হয় না।’
ওয়াতানাবে জাপানের মধ্যে সর্বাধিক সন্তানের বাবা হতে চান এবং বিয়ের দেবতা হিসেবে পরিচিত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। তার আদর্শ হলো শোগুন টোকুগাওয়া ইয়েনারি, যিনি ২৭ জন স্ত্রী ও ৫৩ জন সন্তানের বাবা ছিলেন। ওয়াতানাবে এখন এই রেকর্ড ভাঙতে চান এবং ৫৪ সন্তানের বাবা হয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে চান।
সূত্র: সাউথ চায়না মোনিং