কুমিল্লাবৃহস্পতিবার, ২৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৩ মাস দেশেই ছিলেন ওবায়দুল কাদের, পাঁয়তারা করছিলেন রাজনীতিতে ফেরার

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
মে ২৬, ২০২৫ ৬:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!


ডেস্ক রিপোর্ট:

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। পালিয়ে আশ্রয় নেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতারাও পরিবারসহ আশ্রয় নেন ভারতে। নিজ নিজ প্রাণ বাচাঁতে যে যেখানে পেরেছেন লুকিয়ে ছিলেন।

ক্ষমতায় থাকাকালে বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে মাঠ কাপাঁনো আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চরম দুঃসময়ে যেসব নেতা দলীয় কর্মীদের পাশে ছিলেন না। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও তিনি টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করেননি। অথচ আগে প্রায় প্রতিদিনই বিরোধী দলকে নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিতেন তিনি।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ওয়ালের এক্সিকিউটিভ এডিটর অমল সরকারকে দেওয়া ওবায়দুল কাদেরের এক সাক্ষাৎকার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ৫ আগস্টের পর কতদিন দেশে ছিলেন এবং দেশে অবস্থানকালীন কীভাবে রাজনীতিতে ফেরার পাঁয়তারা করছিলেন।

সাক্ষাৎকারে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি বাংলাদেশেই ছিলাম তিন মাসের মতো। আমার একটা উদ্দেশ্য ছিল-ওখান থেকে কিছু করা যায় কিনা। কিছু একটা করা যায় কিনা। সংগঠিত করা যায় কিনা। বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিক অসন্তোষ, কর্মচারীদের অসন্তোষ। প্রতিদিনই এগুলো লক্ষ্য করতাম। ক্ষোভগুলো তখন রাস্তায় নেমে আসছিল। বিশেষ করে গার্মেন্টস। সে সময় ভাবলাম-এদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কিছু করা যায় কিনা। এই চিন্তাতেই তিন মাস পেরিয়ে গেল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এরপর একে একে সবাই অ্যারেস্ট হচ্ছি। আমি তো নেত্রীর পরের, তখনই ২১২টা খুনের মামলায় আমি আসামি হয়ে গেছি। এ অবস্থায় অনেকে বলল, আবার এখান থেকেও অনেক অনুরোধ যাচ্ছিল আমি যেন সতর্কভাবে এদিকে চলে আসি। এভাবেই চিন্তা করলাম যে, আমার বাইপাস সার্জারি হয়েছিল। অনেকগুলো ওষুধ খেতে হয়। আমি ধরা পড়লে ওষুধ খাওয়াবে কে?। তারপর অনেক কিছু ভাবনা-চিন্তা করে….।’