গভীর নিম্নচাপটি বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলাদেশের খেপুপাড়া দিয়ে স্থলভাগে উঠে খুলনা দিয়ে এখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্য বিরাজ করছে। যার ফলে বুধবারও দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
একই সঙ্গে উপকূলীয় জেলাগুলোতে সর্বোচ্চ ৩ ফুট উচ্চতার জালোচ্ছ্বাসের আশঙ্কার কথাও জানায় আবহাওয়া বিভাগ।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে উপকূলীয় তিন বিভাগে বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় বুধবার দিনের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩ ডিগ্রি সেলাসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে বলেও জানান আবহাওয়াবিদরা।
বুধবার দুপুরে সর্বশেষ সামুদ্রিক আবহাওয়ার পরিস্থিতিতে আবহাওয়া দপ্তর জানায়, খুলনা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ-বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
এতে আরও জানানো হয়, স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে সতর্কবার্তায়।