কুমিল্লাসোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার ব্যাপারে আশাবাদী নেইমার জুনিয়র

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
ডিসেম্বর ২১, ২০২৪ ৬:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!


ডেস্ক রিপোর্ট:

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের ব্যাপারে আশাবাদী ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। সম্প্রতি টিএনটি স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডায় অনুষ্ঠিতব্য আসরে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এর আগে, কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপকেই নিজের শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নেইমার।

তিনি স্পষ্টভাবেই বলেছেন, “২০২৬ বিশ্বকাপে খেলতে চাই।” তবে চোটের কারণে সেলেকাওদের হয়ে সর্বশেষ ১৪টি ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি তিনি।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম আরএমসি স্পোর্টের সাংবাদিক মারিওন বার্তোল্লি ও বেনোইত বোউত্রনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেইমার জানান, তার লক্ষ্য এখন শারীরিক সক্ষমতা পুনরুদ্ধার করা। বেনোইত বোউত্রন যখন জানতে চান, ২০২৬ বিশ্বকাপ জয় কি তার ক্যারিয়ারের চূড়ান্ত লক্ষ্য, নেইমার উত্তরে বলেন, “প্রথমে আমি আল হিলালের হয়ে ভালো একটি মৌসুম কাটাতে চাই। মারাত্মক এক চোট থেকে মাত্রই ফিরেছি। নিজের সেরা পর্যায়ে পৌঁছাতে এবং এখানে আসার কারণ প্রমাণ করতে আমার এখনো সময় আছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার প্রধান লক্ষ্য হলো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠা এবং শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানো। ২০২৫ সালের ক্লাব বিশ্বকাপে আল হিলালের হয়ে অংশগ্রহণ করতে চাই, কারণ এটি ক্লাবের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।”

২০২৬ বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে নেইমার বলেন, “বিশ্বকাপে খেলা প্রতিটি খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন। আমি এরই মধ্যে তিনটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছি এবং অবশ্যই চতুর্থটিতেও খেলতে চাই। এটি নিয়ে মনোযোগী হতে হবে এবং যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে।”

ব্রাজিলের জার্সিতে নেইমার এখন সর্বোচ্চ গোলদাতা। গত বছর সেপ্টেম্বরে কিংবদন্তি পেলের (৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল) রেকর্ড ভেঙে ১২৮ ম্যাচে ৭৯ গোল করেছেন নেইমার। যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, শৈশবে তিনি এমন স্বপ্ন দেখেছিলেন কি না, তখন তিনি বলেন, “শৈশবে যত স্বপ্ন দেখেছি, সেগুলো ইতিমধ্যেই ছাড়িয়ে গিয়েছি। ছোটবেলায় সান্তোস এবং ব্রাজিলের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আমাকে আরও বেশি দিয়েছেন।”

নেইমার আরও বলেন, “আমার ক্যারিয়ার নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। অনেক বড় বড় ক্লাবে খেলেছি এবং এখন ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা। এই অর্জনে আমি গর্বিত। আমার সন্তানেরা জানবে, আমি আমার দেশের ফুটবল ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ছিলাম।”