ডেস্ক রিপোর্ট:
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হোয়াটসঅ্যাপের বার্তা পড়ার সক্ষমতা রাখে, এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জো রোগান এক্সপেরিয়েন্স পডকাস্টে ফেসবুকের এই প্রতিষ্ঠাতা এমন মন্তব্য করেন। খবর নিউজবাইটের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিআইএ বা অন্য কোনো গোয়েন্দা সংস্থা যদি ব্যবহারকারীর স্মার্টফোন বা অন্য ডিভাইসটি পেয়ে যায়, তাহলে তারা সেই ডিভাইসের বার্তা বা তথ্যের সরাসরি অ্যাকসেস পেতে পারে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টাকার কার্লসনের সাক্ষাৎকার আয়োজনের চেষ্টা সম্পর্কে রোগানের একটি প্রশ্নের প্রেক্ষাপটে এই মন্তব্য করেন জাকারবার্গ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে, তিন বছরের প্রচেষ্টার পর পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে সফল হওয়ার সময় কার্লসন বলেছিলেন, মার্কিন কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে এনএসএ এবং সিআইএ, তার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য তার বার্তা এবং ইমেইল ট্যাপ করে গুপ্তচরবৃত্তি করেছে এবং মিডিয়াতে তার উদ্দেশ্য ফাঁস করেছে। এতে মস্কো তাকে ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী হয়নি।
এই প্রসঙ্গে রোগান জাকারবার্গকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কীভাবে এনক্রিপশন সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও সিআইএ বা অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা এসব বার্তা পড়তে পারে।
জবাবে জাকারবার্গ বলেন, এনক্রিপশনের প্রধান সুবিধা হলো এটি এমনভাবে ডিজাইন করা, যাতে পরিষেবাটি পরিচালনাকারী কোম্পানিও বার্তার বিষয়বস্তু দেখতে না পায়। অর্থাৎ, যদি আপনি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন, তাহলে মেটার সার্ভারগুলো সেই বার্তা দেখতে পাবে না।
তবে তিনি উল্লেখ করেন, যদি কেউ মেটার ডাটাবেস হ্যাক করে, তবুও তারা ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত টেক্সট অ্যাক্সেস করতে পারবে না। তবে এনক্রিপশন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহারকারীদের ডিভাইসে সংরক্ষিত বার্তা দেখতে বাধা দেয় না।