কুমিল্লাবৃহস্পতিবার, ৩০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হাফপ্যান্ট পরে অজু করলে অজু হবে?

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩ ৪:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট:

নামাজের মতো মৌলিক ইবাদত ছাড়াও সবসময় অজু করার বিশেষ ফজিলত আছে ইসলামে। হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছিলেন, ‘হে আমার বেটা! সম্ভব হলে সব সময় অজু অবস্থায় থাকবে। কেননা মৃত্যুর ফেরেশতা অজু অবস্থায় যার জান কবজ করেন তার শাহাদাতের মর্যাদা লাভ হয়।’ (শুয়াবুল ঈমান, বায়হাকি, হাদিস, ২৭৮৩)

অজু করার নিয়ম হলো- পূর্ণ মুখ বা চেহারা ধোয়া, দুই হাত কনুইসহ ধোয়া, মাথার চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ করা, দুই পা টাখনুসহ ধোয়া।

এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, হে মুমিনগণ! যখন তোমরা নামাজের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাতগুলো কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং তোমাদের মাথায় মাসেহ কর, এবং পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নাও। এবং যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে বিশেষভাবে পবিত্র হবে। (সূরা মায়েদা, (৬) আয়াত, ৫)

স্বাভাবিক শালিন পোশাকে অজু করা উচিত। কারণ, সতর ঢাকা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর আবশ্যক। অপরদিকে হাফপ্যান্ট পরলে সতর অনাবৃত থাকে। তাই হাফপ্যান্ট পরা এবং পরিধান করে অজু করা উচিত নয়।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে আদম সন্তান, আমি তোমাদের জন্য পোশাকের ব্যবস্থা করেছি, যা তোমাদের দেহের যে অংশ প্রকাশ করা দূষণীয় তা আবৃত করে এবং যা শোভাস্বরূপ। বস্তুত তাকওয়ার যে পোশাক, সেটাই সর্বোত্তম। এসব মহান আল্লাহর নিদর্শনাবলির অন্যতম, যাতে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সুরা আরাফ, আয়াত, ২৬)

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা নগ্নতা হতে বেঁচে থাক। কেননা তোমাদের এমন সঙ্গী আছেন (কিরামান-কাতিবীন) যারা পেশাব-পায়খানা ও স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের সময় ছাড়া অন্য কোন সময় তোমাদের হতে আলাদা হন না। সুতরাং তাদের লজ্জা কর এবং সম্মান কর।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস, ২৮০০)

তারপরও কেউ যদি হাফপ্যান্ট পরে করে অজু করে তাহলে তার অজু হয়ে যাবে। তবে কাজটি অনুচিত হবে এবং এব্যাপারে কাউকে উৎসাহিত করা যাবে না।