ডেস্ক রিপোর্ট:
দুবাইয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে লড়াকু সেঞ্চুরি করেও দলের ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নিলেন তাওহীদ হৃদয়। ম্যাচের শেষ পর্যায়ে ক্র্যাম্পের কারণে রান তুলতে না পারার বিষয়টি স্বীকার করেছেন এই তরুণ ব্যাটার।
বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতেই বড় ধস নামে। মাত্র ৯ ওভারের মধ্যে স্কোর দাঁড়ায় ৩৫-৫। এরপর হৃদয় ও জাকের আলী মিলে ষষ্ঠ উইকেটে ২০৬ বলে ১৫৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে দলের হাল ধরেন। সে জুটি নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘জাকের আর আমি কেবল একটি পার্টনারশিপ গড়তে চেয়েছিলাম, এর বেশি কিছু না।’
জাকের ১১৪ বলে ৬৮ রান করে বিদায় নেন। এরপরই ক্র্যাম্পে কাবু হতে থাকেন হৃদয়। ৮৬ রানে পৌঁছানোর পর থেকেই ব্যথায় কাতরালেও ব্যাটিং চালিয়ে যান তিনি। টেলএন্ডারদের সঙ্গে জুটি গড়ে নিজের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন, তবে ইনিংসের শেষদিকে গতি আনতে ব্যর্থ হন, ফলে বাংলাদেশও বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি।
হৃদয় বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমি এখন ভালো আছি। আমার মনে হয়, ক্র্যাম্পটাই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যদি আমি ঠিক থাকতাম, তাহলে আরও ২০-৩০ রান করতে পারতাম।’
বাংলাদেশের পরিকল্পনা ছিল টস জিতলে ব্যাটিং নেওয়ার। হৃদয়ের ভাষ্য, ‘আমাদের স্পষ্ট ধারণা ছিল, যদি টস জিতি তবে ব্যাটিং নেব। আমরা শুধু কয়েকটা উইকেট দ্রুত হারিয়ে ফেলেছি। তবে এরপরও আমি আর জাকের যে ব্যাটিং করেছি, যদি আমাদের কেউ শেষ পর্যন্ত থাকতে পারত, তাহলে হয়তো ২৬০-২৭০ রান করতে পারতাম।’
তবে ২২৮ রান নিয়েও জয় সম্ভব ছিল বলে মনে করেন হৃদয়। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, আমি ভেবেছিলাম আমরা জিততে পারবো। এই স্কোর নিয়েও লড়াই করা সম্ভব ছিল, আর আমরা করেছি। আমাদের বোলিং ভালো ছিল, যদিও শুরুতে কিছু বাড়তি বাউন্ডারি দিয়ে ফেলেছি। কিন্তু যদি আরও কয়েকটা উইকেট নিতে পারতাম, তাহলে ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো।’