আকাশ আল মামুন, কুবি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও তার মায়ের জানাজায় নিজ বিভাগের কোন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গেছে।
গতকাল (৮ সেপ্টেম্বর) বাদ মাগরিব সুমাইয়া ও তার মায়ের সুজানগর সুন্নিয়া জামে মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত হলেও সেখানে লোক প্রশাসন বিভাগের কোন শিক্ষকের উপস্থিতি দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবি, নিজ বিভাগের শিক্ষকরা সক্রিয় না থাকলে অন্য বিভাগের শিক্ষকরা সক্রিয় থাকার প্রশ্নই উঠে না। লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষকরা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সব সময় অসহযোগিতা করে থাকেন বলেও দাবি করেন তারা। তারা শিক্ষার্থীবান্ধব না।
এর আগে গতকাল সকালে সুমাইয়ার ভাড়া বাসায় যান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোসা. শামসুন্নাহার‚ছাত্র উপদেষ্টা কৃষ্ণ কুমার সাহা এবং সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহিন উদ্দিন। বিকালে সেখানে যান সহযোগী অধ্যাপক মো: নাজমুল হক।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভাগটির বর্তমান ১২ জন শিক্ষকের মধ্যে ৭ জনই কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন জায়গায় থাকেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: রুহুল আমিন বলেন‚ ‘আমি জানাজায় যাইনি। আমি গতকাল মাস্টার্সের রেজাল্ট তৈরিতে ব্যাস্ত ছিলাম। আসলে এই হত্যাকান্ড বা এমন ঘটনাগুলো তো আনসার্টেন ব্যাপার এগুলো হঠাৎ করেই হয়ে যায়। সংগঠিত হয়ে যাওয়ার সুযোগ আসলে কমই থাকে।’
আরেক অধ্যাপক ড. মো: রশিদুল ইসলাম শেখ বলেন‚ ‘আমি জানাজায় যাইনি। এ বিষয়ে আমার আর কোন বক্তব্য নেই। বিভাগের চেয়ারম্যান এ কথা বুঝবে। বিভাগ থেকে কিছু লোক গিয়েছে। সবাই হয়তো যেতে পারেনি। আজকে শোক আছে।’
সহকারী অধ্যাপক মো: জিয়া উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত‚ এর আগে গতকাল কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুড়ি একটি ভাড়া বাসায় সুমাইয়া ও তার মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে নগরীর পূবালী চত্ত্বরে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। এরপর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে পুলিশ সুপার ১২ ঘন্টার মধ্যে জড়িতদের আটকের আশ্বাস দেন।












