শেখ হাসিনা জানতেন ন্যায়ের বিচার হলে সে হেরে যাবে, প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি নিরপেক্ষ হয়, শেখ হাসিনা আর ক্ষমতায় থাকবেন না। তাই তিনি ছাত্রলীগ যুবলীগ থেকে বেছে বেছে পুলিশ বাহিনী তৈরি করেছিলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৈরি করেছিলেন। শেখ হাসিনা ছিলেন নরকের শাসক। এই শাসনের যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেই কাজ আমাদের করতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরের পরে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাগড়া ঈদগা ময়দানে বন্যার্তদের উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি আরো বলেন, আপনারা যদি কোন অপরাধীকে দেখেন তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিন। আমরা আইনের শাসনের জন্যেই একথা বলছি। যদি কেউ অপরাধী হয়ে থাকে তার নামে মামলা করবেন তবে কোন নিরাপরাধ ব্যক্তির নামে মামলা করবেন না। এটা সবচাইতে বড় গুনাহ। অনেক সাধারণ মানুষ ছিল আওয়ামী লীগের, তাদের নামে মামলা করবেন না। যারা গুন্ডামি করেছে, যারা সন্ত্রাসী করেছে, যারা অসহায় মানুষের বাড়ি ঘর দখল করেছে তাদের বিরুদ্ধে আপনারা ব্যবস্থা নিবেন তবে সেইটা আইনি প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে হতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিএনপির সভাপতি হাজী জসিম উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এএ জহির উদ্দিন তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক সাদ মোর্শেদ পাপ্পা সিকদার
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ভিপি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনির হোসেন পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল পাসা রাকিব সাংগঠনিক সম্পাদক সাহেদ পান্না, বুড়িচং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, যুবদল নেতা মিয়া মোহাম্মদ সোহাগ পারভেজসহ আরও অনেকে।
পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দেড় হাজার বন্যার্তদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।