ডেস্ক রিপোর্ট:
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক শুল্ক নীতির ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ারকে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি প্রদান করেছে। এ বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শুল্ক হ্রাসসংক্রান্ত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসতে পারে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় এ মন্তব্য করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য প্রেরিত চিঠির বিষয়টি উল্লেখ করেন, তবে এখনও এ সংক্রান্ত কোনো প্রত্যুত্তর পাওয়া যায়নি বলে জানান।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সম্প্রসারণের মাধ্যমে উভয় দেশই লাভবান হবে। বর্তমানে ১৯০টি পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করছে এবং অতিরিক্ত ১০০টি পণ্যকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা জেমিসন গ্রিয়ারকে প্রেরিত চিঠিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে উন্মুক্ত আলোচনা ও সহযোগিতার ইচ্ছার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য রপ্তানিতে কোনো বাধা থাকলে তা দূর করতে আমরা প্রস্তুত। আমাদের শুল্ক কাঠামোতে ইতিমধ্যে ১৯০টি পণ্য শুল্কমুক্ত রয়েছে এবং আরও ১০০টি পণ্যকে এ সুবিধার আওতায় আনার পরিকল্পনা চলছে।”
এদিকে বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘটনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ। এতে উভয়পক্ষ লাভবান হবে বলে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে আমরা সাড়া দিয়েছি। এটা আসলে উভয়পক্ষেরই লাভ হবে। উইন উইন সিচুয়েশন। এসময় তিনি বলেন, দরপত্র উন্মুক্ত করে দেয়ায় প্রতিযোগিতা বাড়ছে। আগের চেয়ে কম দামে চাল, ডালসহ অন্যান্য পণ্য কেনা যাচ্ছে।