ডেস্ক রিপোর্ট:
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাইলে প্রথমে আপনাকে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। তবে গাড়ি চালানোর জন্য আবেদনকারীর শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা আবশ্যক। আবেদনকারীকে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস করতে হবে। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ২১ বছর এবং অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর বয়স হতে হবে।
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১. আবেদনকারীর সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৩০০ × ৩০০ পিক্সেল)।
২. রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত মেডিকেল সনদপত্র।
৩. আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)।
৪. আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা যদি এনআইডিতে উল্লিখিত ঠিকানা থেকে ভিন্ন হয়, তাহলে বর্তমান ঠিকানার ইউটিলিটি বিল (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল ইত্যাদি)।
৫. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র।
স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পদ্ধতি:
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বিআরটিএর (BRTA) নির্দিষ্ট বুথে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এরপর আপনাকে একটি লার্নার লাইসেন্স দেওয়া হবে। এই লার্নার লাইসেন্সে পরীক্ষার তারিখ ও স্থান উল্লেখ থাকবে। নির্ধারিত তারিখে গিয়ে লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক (প্র্যাকটিক্যাল) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই এই পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং সফলভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে। যদি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হন, তাহলে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যাবে না। তবে মনে রাখবেন, শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে প্রধান সড়কে গাড়ি চালানো যাবে না।