কুমিল্লাশনিবার, ২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যে কারণে ট্রাম্পকে এক কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিল ইলন মাস্ক

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫ ৫:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!


ডেস্ক রিপোর্ট:

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছিল। এখন, এক্স (পূর্বে টুইটার) এর মালিক ইলন মাস্ক ট্রাম্পকে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। ২০২১ সালে টুইটারের সিইও ছিলেন জ্যাক ডরসি। ওই বছর ট্রাম্পের অনুগামীরা ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালায়, যার পেছনে ট্রাম্পের ভূমিকা থাকার অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগ রয়েছে, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে পরাজয় মেনে নিতে না পেরে ট্রাম্প তার অনুগামীদের উত্তেজিত করেছিলেন। এর ফলস্বরূপ ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালায় একদল রিপাবলিকান সমর্থক। এই ঘটনায় ১৪০ জন পুলিশ কর্মী গুরুতরভাবে আহত হন এবং ১,৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে টুইটার এবং ফেসবুক ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়।

ট্রাম্প টুইটার এবং ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। এখন এক্সের মালিক ইলন মাস্ক ট্রাম্পকে ১ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেবেন বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে। এর আগে মেটাও ট্রাম্পকে ২.৫ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছিল। গত জানুয়ারিতে মেটা এই বিষয়ে সম্মত হয় বলে জানা গেছে।

২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হন, কিন্তু তিনি বেশ কিছুদিন পর্যন্ত এই পরাজয় মেনে নেননি। সমর্থকদের উত্তেজিত করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এর ফলে ক্যাপিটল হামলার মতো ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর টুইটার এবং ফেসবুক ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়।

কিছুদিন পর ইলন মাস্ক টুইটার কিনে নেন এবং প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে এক্স রাখেন। তিনি পুরনো সিইও জ্যাক ডরসিকে বরখাস্ত করে নতুন টিম গঠন করেন। এরপর তিনি ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করেন। সর্বশেষ মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারে মাস্ক প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছেন। ট্রাম্পও বারবার মাস্কের প্রশংসা করেছেন। এবার মাস্ক ট্রাম্পকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

কর্মী সংকোচনে শিলমোহর
মার্কিন প্রশাসনে কর্মী সংকোচনের বিষয়ে আর কোনো বাধা থাকল না। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি প্রশাসনে কর্মীসংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং কর্মীদের অর্থের বিনিময়ে চাকরি ছাড়ার নির্দেশ দেন। কর্মীদের ইউনিয়নগুলো এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যায়। তবে একটি জেলা আদালত রায় দিয়েছে যে কর্মীসংখ্যা কমানোর বিষয়ে কোনো বাধা নেই। অর্থাৎ, ট্রাম্পের পদক্ষেপই মান্যতা পেল।

প্রায় আট লাখ কর্মী ইউনিয়নের সদস্য। তাদের অভিযোগ, গত ২৮ জানুয়ারি একটি ইমেল সকলের কাছে পাঠানো হয়। ইমেলের বিষয় ছিল ‘ফর্ক ইন দ্য রোড’। তাতে লেখা ছিল, কর্মীরা চাইলে এখনই পদত্যাগ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাদের আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমস্ত বেতন দেওয়া হবে। পদত্যাগ না করলে কর্মীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। যারা পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক, তাদের শুধু ‘রিসাইন’ লিখলেই চলবে।

এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৫ হাজার ফেডারেল কর্মী পদত্যাগ করেছেন। অনেকেই আশা করেছিলেন আদালত তাদের পক্ষে রায় দেবে, কিন্তু তা হয়নি।