একটা সময় ছিল যখন অনেকেই মাটিতে বা মেঝেতে ঘুমাতেন। তাদের স্বাস্থ্যও বেশ ভালোই থাকত। তবে এখন সুন্দর খাট আর ম্যাট্রেসের কারণে মেঝেতে ঘুমানোর চল নেই বললেই চলে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, মাটিতে ঘুমানো বেশ স্বাস্থ্যকর। এভাবে শোয়া বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রথম দিকে একটু অস্বস্থি লাগলেও ধীরে ধীরে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে পারবেন। বোল্ড স্কাই জানিয়েছে মেঝেতে শোয়ার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা।
চলুন জেনে নিই মেঝেতে ঘুমালে শরীরে কী ঘটে–
মেরুদণ্ড সোজা হয়ে থাকে
মেঝেতে ঘুমালে মেরুদণ্ড সোজা হয়ে থাকে। ফলে যাদের পিঠে ব্যথার মতো সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে উপকার মেলে। কারণ, মেরুদণ্ড সোজা হয়ে থাকলে পিঠে আরাম পাওয়া যায় আর সমস্যাও অনেকটা কমে আসে। এ ছাড়াও মেঝেতে ঘুমানোর ফলে আপনার কোমরের ব্যথাও কমতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা মেঝেতে ঘুমানোর অভ্যাসকে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলছেন।
ঘাড়ের ব্যথা কমায়
ঘুমের সময় ঘাড় সোজা করে না রাখলে ঘাড় ও পিঠে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে আপনি যদি আঁকাবাঁকা হয়ে ঘুমান তাহলে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। তবে মেঝেতে ঘুমালে এ ধরনের সমস্যা এড়ানো যায়। কারণ, এ ক্ষেত্রে ঘাড় সোজা রাখা সহজ হয়।
রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়
শরীর সুস্থ রাখার জন্য রক্ত সঞ্চালন ভালো হওয়া জরুরি। আপনি যদি মেঝে বা শক্ত জায়গায় ঘুমান তাহলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। তাই মেঝেতে ঘুমালে উপকার পাওয়া যাবে। তবে আপনার যদি ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সমস্যা থাকে, তাহলে মেঝেতে না ঘুমানোই ভালো।
ঘুমের সমস্যা দূর হয়
গরমের সময় অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। গরমের ফলে বারবার ঘুম ভেঙে যেতে পারে বা ভালোভাবে ঘুম না-ও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে মেঝেতে ঘুমালে আরামে ঘুমানো সম্ভব।
তবে মেঝেতে ঘুমালে শরীরে কিছু সমস্যাও হতে পারে। সেই বিষয়গুলোতেও নজর রাখা উচিত। চলুন জেনে নিই সে সস্পর্কে বিস্তারিত–
অ্যালার্জির সমস্যা
মেঝেতে প্রায়ই বেশি ধুলোবালি ও ময়লা জমে। বিশেষ করে কার্পেটের ওপর ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে এর থেকে হাঁচি, সর্দি, চুলকানি, চোখ লাল হওয়া, শ্বাসকষ্ট ও কাশির মতো অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে। তাই মেঝেতে ঘুমানোর ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
ঠান্ডা লেগে যেতে পারে
গরমে ঠান্ডা মেঝেতে ঘুমালে আরাম পেতে পারেন, তবে ঠান্ডায় ঘুমানোর কারণে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শরীরের তাপ দ্রুত কমতে পারে ও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হয়।
সূত্র: স্লিপ ফাউন্ডেশন