কুমিল্লাবৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মালয়েশিয়ার দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এমওইউ স্বাক্ষর করল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিবেদক
CUMILLA PRESS
জুলাই ৩০, ২০২৩ ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আব্দুল্লাহ, কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া সারাওয়াক (ইউনিমাস) ও সানওয়ে ইউনিভার্সিটি, মালয়েশিয়া এর সাথে একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়েছে। গত ২১ জুলাই ইউনিমাস ও ২৫ জুলাই সানওয়ে ইউনিভার্সিটির সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এই সমঝোতা স্মারকের স্থায়িত্বকাল হবে ৫ বছর।

এসময় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আবদুল মঈন এবং রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মাজেদ পাটোয়ারী।

এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে উভয় দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উভয় দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) সংক্রান্ত কার্যক্রমে একসঙ্গে কাজ করতে পারবে।

তাছাড়া এই সমঝোতা উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ই গবেষণা সহযোগিতা, ছাত্র বিনিময়, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে প্রকল্পে অংশগ্রহণ ও অন্যান্য সেবামূলক কাজকে অগ্রসর করতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপরোক্ত দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্ত পূরণ করতে পারলে সেখানে মাস্টার্স ও পিএইচডি করতে পারবে। এছাড়াও সেখানকার শিক্ষকদের সাথে গবেষণা করতে পারবে। সেখানকার শিক্ষার্থীরাও একই ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত কুবির রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মাজেদ পাটোয়ারী বলেন, “আমাদের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন কুমিলা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সবসময়ই কাজ করে যাচ্ছেন। এই সমঝোতা চুক্তি তারই প্রমাণ দেয়। তিনি গবেষণাতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর।”

তিনি আরো বলেন, “এই ধরনের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। তাছাড়া আমরা যারা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা শিক্ষার্থীরা আছি তাদের জন্য অনেক সহায়ক হবে।”

এই বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ আবদুল মঈন বলেন, “এই চুক্তির পেছনে আমাদের একটাই উদ্দেশ্য ছিলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তাদের যে ল্যাব সরঞ্জাম আছে তা খুবই সমৃদ্ধ। এখানে আমদের মধ্যে জয়েন্ট পাবলিকেশন হবে।আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখানে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যেতে পারবে। তেমনভাবে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারবে। আমাদের সায়েন্সের শিক্ষকরা তাদের ল্যাব সুবিধা পাবে। এই চুক্তি গবেষণা ও শিক্ষার ক্ষেত্র নিঃসন্দেহে আমাদের প্রতিষ্ঠানকে বিজ্ঞান ও শিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা খুব তাড়াতাড়ি শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি সেমিনার করবো। এই সেমিনারের মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারবে কীভাবে তাঁরা এই চুক্তির সুযোগ-সুবিধা গুলো পাবে এবং সেগুলোকে কীভাবে কাজে লাগাবে।”