মৃত রাকিবুল ওই মাদরাসায় নূরানী বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। সে উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের টেঙ্গুরিয়া গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে।
মৃত রাকিবুলের মা রিমি বলেন, প্রায় ২২ দিন আগে রাকিবুলকে গান্ধিনা জান্নাতুল ফেরদৌস মাদরাসায় ভর্তি করা হয়। কিন্তু ভর্তির পর সে কয়েকবার একাই বাড়িতে চলে আসে। রাকিবুলের কাছে বাড়িতে আসার কারণ জানতে চাইলে সে বলতো মাদরাসার হুজুর তাকে নির্মমভাবে মারধর করে, তাই সে বাধ্য হয়ে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে। তারপরও তারা ছেলেকে ধর্মীয় শিক্ষার জন্য মাদরাসায় দিয়ে আসতেন। সর্বশেষ গত শনিবার সকালে তাকে আবার মাদরাসায় দিয়ে আসেন তারা।
তিনি বলেন, ছেলেকে সকালে দিয়ে আসার পর বিকেলে মাদরাসার হুজুর তার বাবাকে ফোন দিয়ে দ্রুত মাদরাসায় যেতে বলে। আমরা মাদরাসায় যাওয়ার পর হুজুর বিভিন্ন ধরনের কথা বলতে থাকে। পরে একপর্যায়ে হুজুর বলেন আমার ছেলে রাকিবুল নাকি ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে মাদরাসার কক্ষে গিয়ে দেখি আমার ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ। ছোট ছেলে কীভাবে ফাঁসি দেয়। আমরা ওই হুজুরের শাস্তি চাই।
কালিহাতী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিন জানান, খবর পেয়ে গান্ধিনা জান্নাতুল ফেরদৌস মাদরাসা থেকে রাকিবুলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ওই শিক্ষার্থী মাদরাসা থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু অভিভাবকরা তাকে বারবার মাদরাসায় দিয়ে আসে। তারপরই এই ঘটনা ঘটে। আসল কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে।