ডেস্ক রিপোর্ট:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে কুমিল্লার হোমনায় অভিযুক্তের বাড়ি ও পাশের মাজারে আগুন দিয়েছে স্থানীয় একটি গোষ্ঠী। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার আছাদনগর গ্রামের ফকির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম মহসিন (৩৫)। তিনি হোমনা উপজেলার আছাদনগর গ্রামের ফকির বাড়ির আলেকশাহর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, অভিযুক্ত যুবক বেমজা মহসিন নামে ফেসবুক আইডিতে বুধবার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করে পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, যারা আউলিয়া, তাদের পুত্রসন্তান হয়। যারা দেউলিয়া তাদের কন্যাসন্তান হয়, নবী মোহাম্মদ খুব খারাপ মানুষ ছিলেন, তাই তার পুত্রসন্তান হয়নি, বর্তমান পীর সাহেব নবীর চেয়ে বেশি পবিত্র, তাই তাদের পুত্রসন্তান হইছে।
ওই ঘটনায় উত্তেজিত জনতা বিক্ষোভ করলে মহসিনকে গ্রেপ্তার করে বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে ওই ঘটনায় বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা হোমনা উপজেলা শাখার সাংগাঠনিক সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে হোমনা থানায় অভিযুক্ত মহসিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় একটি গোষ্ঠী অভিযুক্ত মহসিনের বসতবাড়িতে আগুন দেয়। তারা পাশের মাজারেও আগুন দেয়। এতে একটি মোটরসাইকেল ও আসবাবপ পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার (এসপি) নাজির আহমেদ খাঁন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা ও সহকারী পুলিশ সুপার (হোমনা-মেঘনা) সার্কেল আবদুল করিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, মহানবীকে নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে বুধবার তৌহিদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ শুরু হয়। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মহসিনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়। ওসি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় জনতা পুনরায় জড়ো হয়ে মহসিনের বাড়ি ও পাশের মাজারে আগুন দেয়। এতে সব কিছু পুড়ে যায়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার (এসপি) নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পরও যারা তার ঘরবাড়িতে আগুন দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি বব্যস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে এর পেছনে কারো ইন্ধন রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।












