কুমিল্লার বুড়িচংয়ে পৃথক দুটি ঘটনায় পুকুর থেকে রুবেল মিয়া নামে ৩২ বছরের এক যুবক ও সাহাদ হোসেন নামে আড়াই বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রুবেল মিয়া বুড়িচং উপজেলা ময়নামতি ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামের আবদুল রারেকের ছেলে। বুধবার রাত সাড়ে
৯ টায় বাড়ী পাশে একটি পুকুরে নামে গোসল করার জন্য। দীর্ঘক্ষন পরও বাড়িতে ফিরে না যাওয়ায় তার বাবা স্থানীয় লোকজন নিয়ে পুকুরের পানিতে জাল ফেলে খুজাখুজি করে। রাতে তাঁর কোন খোজ না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টা থেকে স্থানীয়রা আবারো জাল দিয়ে পুকুরে খুজতে থাকে। পরে সকাল ৭ টায় বেড়জালের মধ্যে মরদেহটি উপরে উঠে।
নিহত রুবেল বাবা আবদুল বারেক জানান, গতকাল রাতে গোসল করার জন্য পুকুরে নামে রুবেল, অনেকক্ষন পরও বাড়িতে না যাওয়া আমি এলাকার মানুষদের নিয়ে পুকুরে জাল ফেলি।রাতে পায় নাই, সকালে আমার ছেলেকে খুজে পায়। রুবেল দীর্ঘদিন ধরে মৃগী রোগে ভূগছিলো। তাছাড়া সে নেশাগ্রস্থ ছিলো।
বুড়িচং থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে বুড়িচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মৃত্যুর সঠিক কারন নির্ণয় করা যাবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের নামতলা গ্রামে পুুকরের পানিতে পরে সাহাদ হোসেন নামে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে ওই এলাকার প্রবাসী মোঃ ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
পরিবারের অজান্তে শিশুটি সকালে বাড়ীর পাশে পুকুরে পানিতে পরে যায়।
শিশুটির নানী পুকুরে চাল ধুয়ার জন্য গেলে শিশুটিকে ভাসতে দেখে। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে কাবিলা ইস্টান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার শিশুটিকে মৃত ঘোষনা করে।
বুড়িচং থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, শিশুটি বাড়ির পাশে পুকুরে পরে যায়, স্থানীয়দের সাহায্যে পরিবারের লোকজন শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষনা করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া শিশুটির মরদেহ হস্থান্তর করা হয়েছে।