ডেস্ক রিপোর্ট:
যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার জন্য আগ্রহী বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা সাক্ষাৎকারের সময়সূচী সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। পাশাপাশি, ভিসা আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এপি। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে জানানো হয়েছে, এই স্থগিতাদেশ সাময়িক এবং শীঘ্রই নতুন নির্দেশনা জারি করা হবে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য নতুন নির্দেশিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভিসা সাক্ষাৎকারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী প্রত্যেক ব্যক্তির ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই আমাদের জন্য অগ্রাধিকারপূর্ণ বিষয়। শিক্ষার্থী হোক বা অন্য কোনো ভিসা আবেদনকারী, তাদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
এই সিদ্ধান্তকে ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি কঠোর নীতির আরেকটি ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত সপ্তাহে, প্রশাসন হার্ভার্ডসহ বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি নীতিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল, যদিও আদালতের হস্তক্ষেপে তা সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে।
এই নীতির ফলে শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হতে পারে, যা গ্রীষ্ম ও শরৎকালীন সেমিস্টারে তাদের ভর্তি পরিকল্পনাকে ব্যাহত করতে পারে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আর্থিক অবস্থার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
উল্লেখ্য, অনেক মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ফেডারেল তহবিল কাটছাঁটের অভাব পূরণে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। নতুন এই নীতি সে প্রবণতাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।