ডেস্ক রিপোর্ট:
ভারতের মুম্বাইয়ে জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা বাবা সিদ্দিকীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে দেশটির কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি। ৬৬ বছর বয়সী এই নেতাকে গত বৃহস্পতিবার রাতে মুম্বাইয়ের পূর্ব বান্দ্রায় গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার সময় তিনি পূর্ব বান্দ্রার বিধায়ক ছেলে জিশান সিদ্দিকীর অফিসের কাছাকাছি অবস্থান করছিলেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু বাবা সিদ্দিকীকেই হত্যার দায় স্বীকার করা হয়নি, বলিউড তারকা সালমান খান এবং দাউদ ইব্রাহিম-সংশ্লিষ্টদেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় গুলি চালিয়ে সিদ্দিকীকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা নিজেদের লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য বলে স্বীকার করেছে। পুলিশও ধারণা করছে, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হাত রয়েছে।
রোববার ফেসবুকে ‘শিবু লোনকর’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া পোস্টে হত্যার দায় স্বীকার করা হয়, যা বিষ্ণোই গ্যাং-সংশ্লিষ্ট শুভাম রামেশ্বর লোনকরের বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে তিনজন বন্দুকবাজ জড়িত ছিল। হরিয়ানার কর্নেইল সিংহ (২৩) এবং উত্তরপ্রদেশের ধরমরাজ কাশ্যপ (১৯) গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে উত্তরপ্রদেশের আরেকজন, শিব কুমার গৌতম, এখনো পলাতক। পুলিশ ধারণা করছে, এই তিনজনকে সমন্বয় করছিলেন আরেক ব্যক্তি, যিনি এখনও ধরা পড়েননি।
হত্যার জন্য প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অগ্রিম দেওয়া হয়েছিল এবং অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল কয়েক দিন আগে। বাবাসিদ্দিকীর হত্যার পর থেকে সালমান খানের মুম্বাইয়ের বাড়ির নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।
বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য সংখ্যা ৭০০-র বেশি, যারা ভারতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। সাম্প্রতিক সময়ে র্যাপার সিধু মুসেওয়ালা এবং দিল্লির এক জিম মালিকের হত্যায়ও এই গ্যাংয়ের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।