ডেস্ক রিপোর্ট:
বলিউডের সেরা পরিচালক জুটি আব্বাস-মাস্তান পরিচালিত ক্লাসিক থ্রিলার ‘বাজিগর’ হিন্দি সিনেমায় এক ঐতিহাসিক স্থান অধিকার করে আছে। ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমা শাহরুখ খানের ক্যারিয়ারের মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।
দর্শকদের নস্টালজিয়ায় ভাসাতে আবারও আসছে ‘বাজিগর’-এর সিক্যুয়েল। প্রযোজক রতন জৈন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানকে নিয়েই ‘বাজিগর টু’ নির্মাণের ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, রতন জৈন জানান, শাহরুখের সঙ্গে ‘বাজিগর’-এর সিক্যুয়েল নিয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। শাহরুখ এই বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে শুনেছেন।
প্রযোজক বলেন, “বাজিগর টু নিয়ে শাহরুখের সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে। যদিও এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি, তবে আমরা আশাবাদী যে এই সিনেমাটি অবশ্যই তৈরি হবে এবং শাহরুখকে নিয়েই হবে।”
তিনি আরও বলেন, “১৯৯৬ সালের পর ‘বাজিগর’-এর সিক্যুয়েল আনা গেলে এটি একটি নস্টালজিয়া তৈরির বিষয় হবে। যদিও চিত্রনাট্য বা কাস্টিং এখনও ঠিক করা হয়নি, তবে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রজেক্ট নিয়ে আমরা আরও এগোতে চাই এবং খুব শীঘ্রই দর্শকদের জন্য ‘বাজিগর টু’ নিয়ে আসবো।”
‘বাজিগর’ সিনেমায় নায়ক নয়, বরং খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেই বাজিমাত করেছিলেন শাহরুখ খান। এই সিনেমা থেকেই বলিউড পায় শাহরুখ-কাজলের মতো একটি ‘সুপারহিট’ জুটি, যা তিন দশক পেরিয়েও আজও জনপ্রিয়।
এছাড়া, শিল্পা শেট্টি ও কাজলের বিপরীতে শাহরুখ তার অসাধারণ অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে সেই সময় থেকেই দর্শক হৃদয়ে স্থায়ী স্থান করে নিয়েছেন।
জানা যায়, প্রথমে এই সিনেমায় অনিল কাপুরকে ভিকির চরিত্রের জন্য ভাবা হয়েছিল। কিন্তু ‘রূপ কি রানী চোর কা রাজা’ সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় অনিল এটি করতে পারেননি। এরপর এই চরিত্রের প্রস্তাব দেওয়া হয় সালমান খানকে। তবে সালমানের বাবা সেলিম খান চাননি তার ছেলে এমন কোনও নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করুক, তাই সালমানও এটি প্রত্যাখ্যান করেন। এরপরই প্রস্তাবটি শাহরুখ খানের কাছে গেলে তিনি এটি গ্রহণ করেন এবং বাকিটা ইতিহাস।