ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলে প্রবাসী খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ ক্রমেই বাড়ছে। ইংল্যান্ড, কানাডা, ফিনল্যান্ড, ইতালি কিংবা ডেনমার্কের মতো বিভিন্ন দেশের ফুটবল সংস্কৃতি এখন লাল-সবুজ জার্সিতে মিশে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে নতুন করে আগ্রহ জেগেছে কিউবা মিচেল নামের এক তরুণ খেলোয়াড়কে নিয়ে।
ইংল্যান্ডের সান্দারল্যান্ড ক্লাবের যুব দল থেকে ক্যারিয়ার শুরু করা কিউবা মিচেল ক্লাবটির অনূর্ধ্ব-২১ দলেও খেলেছেন। সম্প্রতি সান্দারল্যান্ডের মূল দলে স্থান পেয়ে প্রিমিয়ার লিগে ফেরার স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। তবে দীর্ঘদিন পর প্রিমিয়ার লিগে ফিরে আসা ক্লাবটি তাদের স্কোয়াড পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে মিচেলকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সান্দারল্যান্ডের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ম্যাকেম নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিউবা মিচেল জানিয়েছেন, নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই তিনি তার পরবর্তী ক্লাব ঠিক করতে চান। তবে এরই মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপার বিষয়টিও তার ভাবনায় জায়গা করে নিয়েছে।
মিচেল বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহ আগেই আমার বাংলাদেশের হয়ে খেলার কথা ছিল, কিন্তু রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় কিছুটা বিলম্বের কারণে তা সম্ভব হয়নি। এখন আমাকে অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।”
বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমী ভক্তদের আবেগ ও উন্মাদনা সম্পর্কে ভালোভাবেই জানেন মিচেল। এই অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে তিনি আগ্রহী। তার কথায়, “এটা শুধু একটি অভিজ্ঞতা নয়, বাংলাদেশের হয়ে খেলা জীবনের এক অনন্য ঘটনা। বিশেষ করে যারা মূল দলে নিয়মিত খেলার সুযোগ পায়নি, তাদের জন্য এমন সুযোগ খুব কমই আসে।”
ইতিমধ্যে ইংল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে এসে খেলা শুরু করেছেন প্রবাসী তারকা হামজা চৌধুরী। সান্দারল্যান্ডে থাকাকালীন হামজার ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্লে-অফ ম্যাচে খেলেছিলেন মিচেল। সেই সময়েই বাংলাদেশ নিয়ে হামজার সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছিল।
মিচেল বলেন, “আমি ইতিমধ্যে হামজা চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সে আমাকে প্লে-অফ ফাইনাল এবং বাংলাদেশে তার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেছে। সেখানে সমর্থকদের উৎসাহ অসাধারণ। তাই আমি সেখানে গিয়ে খেলতে এবং দেখতে উৎসুক। এছাড়া এই সুযোগ থেকে আর কী কী দরজা খুলে যায়, সেটাও দেখতে চাই।”
বাংলাদেশ ফুটবলের সম্ভাব্য এই নতুন তারকাকে নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে এখন উত্তেজনা তুঙ্গে। কবে লাল-সবুজ জার্সিতে মিচেলকে দেখা যাবে, সেটাই এখন সবাই অপেক্ষায়।
