কুমিল্লাশুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বন্যার্তদের জন্য নিরলস কাজ করছেন কুবির শিক্ষক – শিক্ষার্থীরা

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
আগস্ট ২৫, ২০২৪ ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

 

আকাশ আল মামুন, কুবি:

ভারত থেকে ধেয়ে আসা পানি ও টানা বৃষ্টির কারণে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুরে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে৷ দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বন্যার্তদের ত্রান সহায়তা ও তাদের উদ্ধারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বন্যা শুরুর পর থেকেই শিক্ষক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, সাধারণ শিক্ষার্থী সবাই নিজ দায়িত্ব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিভাগের ব্যানারে বন্যার্তের জন্য তহবিল সংগ্রহ করছে এবং জনগণকে বন্যার্তদের পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা নৌকা, ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে বন্যায় আটকে পড়ে মানুষদের উদ্ধার করছে। এছাড়া উদ্ধারকাজে শিক্ষকেরও অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া নিজেরা তহবিল সংগ্রহ করে বন্যার্তদের ত্রান সহায়তা দিচ্ছে৷

শিক্ষার্থীরা জানান, প্রথমে যখন গোমতী’র পাড়ে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয় তখন সহযোগিতার জন্য কয়েকটি টিম ভাগ করে নেই। এরপর অন্যান্য অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হলে আমরা সেখানেও আলাদা আলাদা টিম করে কাজ করছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি বিভাগ থেকেই আলাদা টিম করে বন্যার্তদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে৷ তারা তহবিল গঠন করছে, কাপড় সংগ্রহ করে বন্যার্তদের সাহায্য করছে।

এবিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজ বিভাগের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে দিনরাত কাজ করছেন, অর্থ দিচ্ছেন, সংগ্রহ করছেন, বন্টন করছেন, উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণ করছেন এবং স্বপ্রণোদিত হয়েই তারা এ কাজগুলো করছেন। শিক্ষার্থীদের এমন নিরলস পরিশ্রমের দৃশ্য দেখা ও সঙ্গে থাকতে পারা নিঃসন্দেহে শিক্ষক হিসেবে অত্যন্ত আনন্দের প্রেরণারও।

আইন বিভাগের লেকচারার আবু বকর সিদ্দিক (বাবু) বলেন, আসলেই এদেশের অধিকাংশ মানুষজন যেভাবে পারছে প্রত্যেকেই নিজের অবস্থান থেকে বানভাসি মানুষের পাশে দাড়াচ্ছে। এত চমৎকার মেলবন্ধন আর কোথাও হয়ত দেখা যাবে না। তবে, বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর ত্রাণের চাইতেও আরো নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে পুর্নবাসন যখন শুরু হবে তখন। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলার পাশাপাশি আমরা যেন পরবর্তী সময় গুলোর কথা ভুলে না যাই।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন পুলের কর্মকর্তা জাহিদ জুয়েল বলেন, বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে শিক্ষার্থীদের সর্বাত্নক সহযোগিতা করবে প্রশাসন। বর্তমানে বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য ইতোমধ্যে নীল বাসগুলো দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ উদ্ধার কাজ শেষ হচ্ছে না তার ব্যায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে।

প্রসঙ্গত, গত ২১ আগস্ট রাতে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর ডেম বাঁধ খুলে দিলে ফেনী জেলায় বন্যার দেখা দেয়। এরপর থেকে কুমিল্লা ও নোয়াখালী বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়।