ডেস্ক রিপোর্ট:
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ৩ দিন পার হলেও ৩ শিক্ষার্থী ও ২ অভিভাবক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলমের সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২১ জুলাই দুপুর ১টা ১২ মিনিট থেকে ১টা ১৪ মিনিটের মধ্যে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি দোতলা ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। দুপুর ১টায় স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ায় স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী অপেক্ষারত অবস্থায় ছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বিমান বাহিনী, নৌ-বাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের প্রশিক্ষিত জনবল সম্মিলিতভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধারকাজে অংশ নেয়।
মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ জানায়, এ দুর্ঘটনায় স্কুল শাখার ১৮ শিক্ষার্থী, ২ শিক্ষক ও ২ অভিভাবক মারা যান। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন ৫১ জন। তাদের মধ্যে ৪০ শিক্ষার্থী, ৭ শিক্ষক, একজন অভিভাবক, একজন আয়া ও একজন জন পিয়ন আহত আছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্ঘটনার পর এখন পর্যন্ত নিখোঁজ আছেন ৫ জন, তাদের মধ্যে ৩ জন শিক্ষার্থী ও ২ জন অভিভাবক।
এ ঘটনায় গত ২২ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ শুধু প্রতিষ্ঠানের নিহত, আহত ও নিখোঁজের তথ্য তুলে ধরছে। কর্তৃপক্ষের তথ্য হালনাগাদকরণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহত ৬ জনের মরদেহ এখনো শনাক্ত করা যায়নি। ইতিমধ্যে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে পরীক্ষার জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে অজ্ঞাত মরদেহগুলো সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) মর্গে রাখা হয়েছে।