ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে গরু ছুটে ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করা হ
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ আলিয়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধসহ মোট চারজনকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিকেল সাড়ে ৫টায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত সিনিয়র নার্স মো. ইব্রাহীম খলিল কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গুলিবিদ্ধরা হলেন আলিয়ারা গ্রামে এলাকার রোকন আলীর স্ত্রী শরিফা বেগম (৬০) ও বশির আহম্মেদের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৫৫)। আহতরা হলেন জাকির হোসেনের ছেলে ওসমান (১৬), জাকির হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০), রশিদ আহমেদের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৫৫), কাজি রোকন আহমেদের ছেলে কাজি কবির আহমেদ (৩৫), রোস্তম আলির ছেলে আবু তাহের (৬০)।
তাৎক্ষণিকভাবে বাকিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানায়, গত জুন মাসে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আবুল খায়ের ও শেখ ফরিদ গংদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আবুল খায়ের বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা করলে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এ ঘটনার সূত্রপাত থেকে শুক্রবার সকালে উভয়পক্ষের মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয়।
সকাল ১১টার দিকে দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়। দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। তাদেরকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গুলিবিদ্ধ হোসনারা বলেন, শেখ ফরিদের লোকজন আমাদের ওপর কয়েক দফা হামলা করে।
শুক্রবার সকালে আবারও আমাদের ওপর হামলা চালায় এবং গুলি করে। প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।
নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিউটি ডাক্তার শিমা মজুমদার বলেন, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে তিনজন নারী ও এক কিশোরকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত সিনিয়র নার্স মো. ইব্রাহীম খলিল বলেন, ‘বিকেলে আমাদের এখানে নাঙ্গলকোট থেকে চারজন রোগী আসে। তাদের মধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধ বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শেখ ফরিদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, ‘দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ৪ জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছে কি না আমার জানা নেই।’