কুমিল্লাবৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দেশের বন্ধ চিনিকল চালুর জন্য বরাদ্দ ১২০ কোটি টাকা: শিল্প উপদেষ্টা

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
নভেম্বর ১৬, ২০২৪ ৭:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!


ডেস্ক রিপোর্ট:

অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, দেশের বন্ধ চিনিকলগুলোকে ধাপে ধাপে পুনরায় চালু করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বন্ধ চিনিকলগুলো চালু করতে ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং আরও ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ চিনিকল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আদিলুর রহমান খান জানান, বন্ধ চিনিকলগুলো চালু করার জন্য একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তারা কাজ করছে। সেতাবগঞ্জ চিনিকল এবং রংপুরের শ্যামপুর চিনিকলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, তিনি বলেন, সেতাবগঞ্জ একটি সম্ভাবনাময় স্থান এবং এখানকার বন্ধ চিনিকলটি দ্রুত চালু করার চেষ্টা চলছে।

সেতাবগঞ্জ চিনিকলের বেদখল হওয়া জমি নিয়ে তিনি বলেন, এখানে ছাত্র-জনতার দাবির প্রেক্ষিতে যত দ্রুত সম্ভব জমিগুলো দখলমুক্ত করে তা পুনরুদ্ধার করা হবে।

চিনিকলের যন্ত্রাংশ অন্য চিনিকলে নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে শিল্প উপদেষ্টা বলেন, বন্ধ চিনিকলের যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হলে তা অন্য কোনো চালু মিল থেকে নেওয়া হয়। যখন সেতাবগঞ্জ চিনিকল চালু করা হবে, তখন এখানে প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা জানান, চিনিকল চালুর আগে আখ উৎপাদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আখ ছাড়া মিল চালু করা সম্ভব নয়। এজন্য কৃষকদের আখ চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আখ চাষের মাধ্যমে চিনিকল চালুর ভালো ফলাফল হবে।

পরিদর্শন শেষে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান আখচাষি, চিনিকলের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেতাবগঞ্জ চিনিকল চালুর ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণার দাবি জানালে শিল্প উপদেষ্টা বলেন, চেষ্টা করা হচ্ছে, তবে সময় এলেই তা জানানো হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. লিপিকা ভদ্র, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, সেতাবগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল বাশার, চিনিকলের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আখচাষি, বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা।