কুমিল্লাশুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তিন দিনের মধ্যে জবি শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণ করা হবে: উপদেষ্টা নাহিদ

প্রতিবেদক
Palash Khandakar
নভেম্বর ১১, ২০২৪ ৬:১৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!


ডেস্ক রিপোর্ট:

কেরানীগঞ্জে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ের সামনে অবস্থানরত জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে নিজ অফিস থেকে নেমে এসে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, “এগুলো যৌক্তিক দাবি। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থাকবে না, হল থাকবে না, এটি হতে পারে না। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, দ্রুত এসব দাবি পূরণ করা হবে। শিগগিরই শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি জানি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্টে থাকেন। আমার পরিবারের একজন সদস্যও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের আবাসিক হল নেই। সেজন্য শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত। তাদের সকল দাবি যৌক্তিক।”

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “বাস্তবতা হলো, আমরা তিন দিনের মধ্যে হল নির্মাণ করতে পারব না। তবে সেনাবাহিনীর কাছে প্রকল্পটি হস্তান্তর করতে পারি। এজন্য আমাদের আলোচনায় বসতে হবে। আমরা তিন দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করব এবং হস্তান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করব।”

শিক্ষার্থীদের অপমানের বিষয়ে তিনি বলেন, “যেসব কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের অপমান করে ফিরিয়ে দিয়েছেন, তারা এর জন্য ক্ষমা চাইবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এর আগে কেরানীগঞ্জে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবি ও ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির জন্য সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এখনও শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান করছেন, ফলে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমি কে, তুমি কে, জবিয়ান’, ‘মুলা না, ক্যাম্পাস চাই’, ‘আপস না, সংগ্রাম চাই’, ‘অধিকার না অন্যায়, অধিকার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: স্বৈরাচারী সময়ের নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনা, সাত দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর একজন দক্ষ অফিসারকে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দেওয়া যে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং এর সুস্পষ্ট রূপরেখা দেওয়া (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল নির্মাণ), অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণ, এবং পুরাতন ক্যাম্পাসের সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল।